Saturday, January 26, 2019

Book Review: The Cannery Row














Author: John Steinbeck (1902-1968)









Publication Year: 1945
Category/tags: Novel, Great Depression era

Story:

ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরিতে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে আছে ক্যানারি রো নামে এক রাস্তা। একসময় এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্টরি ছিল যেখানে সার্ডিন মাছের ক্যান উৎপাদন করা হতো। সেখান থেকেই
গল্পের নাম 'ক্যানারি রো' (ক্যানারিগুলো এখন বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু সেই রাস্তা আর বন্ধ কারখানাগুলো এখনো সেখানে আছে, গুগলম্যাপে দেখেন)।

'গ্রেট ডিপ্রেশন' যুগে (১৯২৯-১৯৩৯) - যখন সারা পৃথিবী জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে - তারই পটভূমিকায় লেখা এই গল্পটি তখনকার মানুষের সুখ, দু:খ আর প্রতিদিনকার জীবনযাপনের ছবি
তুলে ধরেছে। গল্পটিতে আছে তিনটি প্রধান চরিত্র - লি চং, ডক, আর ম্যাক - সাথে আরো অনেক বিভিন্ন মানুষজন। লি চং এক স্থানীয় মুদি দোকানদার, ডক একজন মেরিন বায়োলজিস্ট, ম্যাক হচ্ছে ওই জায়গার ভবঘুরে মানুষদের নেতা, যারা কোনো কাজ পাচ্ছে না, নিতান্তই হতাশাগ্রস্ত জীবন কাটাচ্ছে, সামান্য যা কিছু উপার্জন ক'রে বা এর-ওর কাছে ধারদেনা করে, এদিক-সেদিক ক'রে যা পায় তাই দিয়ে কোনোমতে জীবনধারণের চেষ্টা করছে।

ভবঘুরে লোকগুলো সাইপ্রেস বনে অথবা রাস্তার কাজে ব্যবহৃত পাইপের মধ্যে দিন কাটায়। ঘটনাক্রমে লি চং-এর কাছ থেকে তাদের নেতা ম্যাক একটা বাড়ি ভাড়া নিতে পারে। বলাই বাহুল্য যে, এই বাড়ির ভাড়া যে তারা দিতে পারবে না, তা লি-ও যেমন জানতো, ম্যাক-ও তেমন জানতো। যাহোক ভবঘুরেরা তাদের বাক্সপেটরা গুছিয়ে বাসায় উঠে এলো। তারা এই সৌভাগ্যে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গেলো। বাসাটাকে তারা খুবই ভালোবেসে ফেললো, এটা-সেটা, ভাঙাচোরা জিনিসপত্র এনে বাসাটা পরম যত্নে সাজাতে শুরু করলো।

ডক-কে তারা সবাই খুব পছন্দ করতো। তিনি ছিলেন সাদাসিধা একজন মানুষ, একাকী জীবন-যাপন করতেন, মাঝে মাঝে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। তারা ডকের সম্মানে একটা সারপ্রাইজ পার্টি দিতে চাইলো। কিন্তু তারা মাতাল হয়ে গিয়ে সবকিছু গুবলেট করে দিলো। মাতাল অবস্থায় এটা-সেটা ভেঙে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হলো। গুজব ছড়িয়ে গেলো যে, তারা ডকের বাড়ি চুরি-ডাকাতি করে নষ্ট করেছে, সবাই তাদের ঘৃণা করা শুরু করলো। এতে তারা আরো হতাশ হয়ে গেলো। নিজেদেরকে অকালকুষ্মান্ড, অকর্মার ধাড়ি বলে মনে হতে লাগলো।

কিছু পরে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানুষের হতাশ অবস্থা কেটে গিয়ে উচ্ছলতা ফিরে আসলো। এসময় তারা ডকের সম্মানে আরেকটা পার্টি দেবার জন্য মন স্থির করলো, এবার তারা সফল হলো। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পার্টিতে অংশগ্রহণ করলো। ডক খুব খুশি হলো, ওই অঞ্চলের সবাই খুশি হলো - এতো হতাশাজনক পরিস্থিতি আর দু:খ-দারিদ্রের মধ্যেও তারা তাদের প্রিয় মানুষের সাথে একটা চমৎকার সময় কাটাতে পেরেছে।

গল্পটা সুন্দর ছবির মতো, সবকিছু খুবই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু অতিরঞ্জিতভাবে নয়। মুদি দোকানদার লি আর তার দোকান, ডক আর তার বিভিন্নরকম জীবজন্তু যেমন ব্যাঙ আর তারামাছ, ম্যাক আর তার ভবঘুরে সাঙ্গপাঙ্গ, ডোরা ফ্লাড আর তার পতিতালয় - সবকিছু যেন সেই ছবিটার ঠিক জায়গায় ঠিকমতো বসানো। গল্পের বিভিন্ন জায়গায় মজার মজার কথা আছে, যা এইসব গরীব-দু:খী মানুষদের 'হতাশ' জীবনযাপন দেখতে দেখতে 'হতাশ' হয়ে যাওয়া থেকে পাঠককে রক্ষা করবে (উদ্ধৃতি অংশ দেখেন)। ব্যাঙ ধরার আয়োজন, পার্টি দেবার চেষ্টা, পার্টি মাখিয়ে ফেলার মুহূর্ত, লি চং-য়ের দোকান - সবকিছুর মধ্যেই হাস্যরস আছে (কিন্তু বাহুল্য নাই), যার সাথে সাথে তাদের জীবনে আসলেই কি ঘটছে, তা-ও আমরা দেখতে পাই।

মানুষ তার দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। মানুষকে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হয় - মেঘ কেটে গিয়ে একসময় সূর্য উঠবেই, অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসবেই। গৃহহীন মানুষেরা যখন একটা ঘরের আশ্রয় পেয়ে সেই শ্রীহীন ঘরটাকেই ভাঙাচোরা জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে তুলতে চায়, ভাঙা টবে ফুল ফুটিয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়, তখন সেই দরদমাখা ভালোবাসাই হয়ে যায় তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন।

পার্টি উপলক্ষ্যে সবার অধীর আগ্রহ, সবার উৎসাহ-উদ্দীপনা - এই প্রাত্যহিক একঘেঁয়ে জীবন-যাপন থেকে একটু অন্যরকম, একটু ছুটি, হতাশাগ্রস্ত মানুষদের পক্ষ থেকে ভালোবাসা, পার্টির জন্য চুরি করতে গিয়ে জেলে যাওয়া, পার্টির জন্য ডোরা ফ্লাডের কর্মী মেয়েদের সাজগোজ, তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ - তারা এই সমাজেরই অংশ, এই পরিবারেরই অংশ - এমনটাই যেন হওয়া উচিৎ।

চমৎকার আলো-আঁধারির সুষমামাখা গল্প। খানিকটা যেন এবরোজিনদের ডট আর্টের মতো (অস্ট্রেলিয়ায় এবরোজিনদের একটা বিশেষ ধরণের চিত্রকর্ম আছে - তারা ছবি আঁকে বিভিন্ন রংয়ের বিন্দু দিয়ে - যা সম্মিলিতভাবে একটা চমৎকার ছবিতে পরিণত হয়, 'Aboriginal dot art' লিখে গুগল করেন।)।

জন স্টেইনবেক ১৯৬২ সালে সাহিত্যে নোবেল পান তার এই বাস্তবধর্মী আর কাল্পনিক চিন্তাধারার সংমিশ্রণের দক্ষতার জন্য, সেই সাথে সমাজের বিভিন্নরকম মানুষের বিভিন্নরকম জীবনধারা,
তাদের সাথে সমব্যাথী হয়ে সহানুভূতিশীল হাস্যরসের ছোঁয়ায় তাদের কথা ফুটিয়ে তোলার জন্য।

আমি ড. অভিজিৎ দত্তের বাংলা অনুবাদ পড়েছি। সুন্দর অনুবাদ।

গল্পটি আর তার সিক্যুয়েল অবলম্বনে ১৯৮২ সালে একটা মুভি বানানো হয় যাতে অভিনয় করেছেন নিক নোল্ট, আর ডেবরা উইংগার।

উদ্ধৃতি:

"রাস্তার পাইপে অথবা সাইপ্রাস বনের তুলনায় লি-এর ভাড়াটেরা যথেষ্ট আরামপ্রদ হিসেবে পছন্দ করেছিল জায়গাটাকে, তার প্রমান হিসাবে প্রথমে একটা চেয়ার এলো। তারপর আরো একটা। কয়েকটা টুলও এসে পড়লো। একজন তো একটা চারপাইও জোগাড় করে আনলো। অতঃপর এলো একটা খাবার টেবিল। সেটা আবার স্থানীয় রঙের দোকানদারের দাক্ষিণ্যে রঙিন হয়ে এসেছিলো।"

"পরদিনই ম্যাক কোথা থেকে একটা সোফা কম বেড ঘাড়ে করে এনে হাজির হলো, যার গদী প্রায় নিঃশেষিত, স্প্রিংয়ের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। এরপরই ওদের মধ্যে বাড়িটার শ্রী ফেরানোর - খোলতাই করার অলিখিত, তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হলো। একটা চেয়ার (আসনটা অর্ধেক ভাঙা), পুরোনো কার্পেট (অবশ্যই যথেষ্ট ছেঁড়া), একটা দেওয়াল ঘড়ি (কাঁটাবিহীন, সময় বলতে অক্ষম), একটা খাবার টেবিল - মাসখানেকের মধ্যে বাড়িটা অতি সজ্জিত অথবা সজ্জা-জর্জরিত হয়ে উঠলো। দেওয়ালগুলো চুনকাম করা হলো, তাতে সেটা আরো ঘোলাটে, অস্বচ্ছ হয়ে প্রায় অপার্থিব ছোঁয়া লাগা মনে হতে লাগলো। এবং সেই দেওয়ালে ছবি টাঙানোর কাজও শেষ হলো - স্বল্পবাস স্বর্ণকেশী সুন্দরীরা, যাদের হাতে কোকাকোলা অথবা বিয়ারের কৌটা। হেনরী আসার পর মৌলিক শিল্পকর্মের অভাবটা মিতা গেলো। দেওয়ালে জায়গা পেলো তার পাখির পালক দিয়ে আঁকা দুইটা শিল্পনমুনা।"

"হেজেলের পরবর্তী জীবন যেমন এলোমেলো ছিল, তার জন্মকালীন নামটাও তেমন বিশৃঙ্খলার মধ্যেই রাখা হয়েছিল। হেজেলের মা আট বছরে ক্রমাগত সাতটি সন্তানের জন্ম দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। হেজেল ছিল তার অষ্টম সন্তান। তার নাম দিতে গিয়ে তিনি তার লিঙ্গ সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তার সাতটি বাচ্চা আর তাদের অকর্মণ্য বাবাকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে করতে সর্বদাই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত থাকতেন। হয়তো এই ক্লান্তিটাই তাকে বিভ্রান্ত করে ফেলেছিলো। সারাটা দিন নানাভাবে পয়সা রোজগারের চেষ্টায়, কখনো কাগজের ফুল বানিয়ে বিক্রি করে, কখনো মাশরুম, কখনো বা খরগোশের মাংস আর চামড়া - এমনি যা-ই বিক্রিযোগ্য, তা বিক্রিবাটার চেষ্টা করতেন। তার অকর্মণ্য জামাই একটা ক্যানভাসের চেয়ারে বসে নানানভাবে তাকে উপদেশ আর সমালোচনা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করতো। হেজেল নামে তার এক চাচী ছিল। এই চাচীর নামেই তার অষ্টম সন্তানের নাম রাখেন হেজেল  - সে যে একটা ছেলে বাচ্চা, সেটা বোঝার আগেই। আস্তে আস্তে তারা সবাই এই নামেই অভ্যস্ত হয়ে গেলো, নাম আর পাল্টানোর দরকার মনে করলো না কেউ।"

"ভোরটা যেন এক সময়-ম্যাজিক ক্যানারি রো-তে। ধূসরতা ছড়ানো প্রাক ভোরে, আলো যখন সবে ফুটতে শুরু করেছে, শহরটা যেন এক অলৌকিকতায় ঝুলে অথবা ডুবে থাকে, নরম রূপালি আলো আর রঙে মাখামাখি হয়ে। ইস্পাতের দীর্ঘ চুল্লির শীর্ষগুলো ঝকঝক করতে থাকে। পরিবেশ জুড়ে নির্জন-নিস্তব্ধতা। রাস্তাগুলো জনমানবশূন্য, যেন আগামী মুখর ব্যস্ততার প্রস্তুতি হিসেবেই। এমনকি সমুদ্রের ঢেউগুলো ক্যানারির দেয়ালে আছড়ে পরে - সমস্ত শব্দই শুনতে পাওয়া যায়, স্পষ্ট - অতি স্পষ্ট। তখন চরাচর জুড়ে, সময় জুড়ে ছড়িয়ে থাকে শান্তি। ক্যানারির দৈনন্দিন ব্যস্ততা আর কোলাহল সরিয়ে দিয়ে সময় তখন যেন একটু বিশ্রাম নেয়। সেই শান্তিপূর্ণ সময়ে বেড়ালগুলো নিঃশব্দে দেয়াল টপকে, মাঠগুলোয়, সমুদ্রপাড়ে মাছের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে বেড়ায়। কুকুরগুলো রাজকীয় ভঙ্গিতে খুঁজে বেড়ায় কোথায় কোথায় পেশাব করতে হবে। সীগালগুলো নিঃশব্দে উড়ে এসে  ক্যানারির  ছাদে এসে ব'সে ডানা ঝাপটাতে থাকে। মেরিন স্টেশনের কাছে পাথরগুলো থেকে হাউন্ডের ডাকের মতো সী-লায়নের ডাক ভেসে আসে।"

===========================================
In Monterey, California there is a waterfront street named Cannery Row where there were many factories that used to make sardine cans. Hence is the name 'Cannery Row' (The canneries are not operational anymore, the road and the dead canneries are still there, see Google Maps).

Set back in the 'Great Depression' era (1929-1939), when the world was suffering great economic disaster, this novel picks the life, emotions and day-to-day activities of the people in that region on that time. There are three main characters - Lee Chong, Doc and Mack - along with many other different characters. Lee Chong is a local grocer, Doc is a marine biologist, Mack who is the leader of the vagabonds who have nothing to do, who are barely trying to live their depressed life by earning or borrowing whatever little bucs they find here and there, this way or that way.

The vagabonds live in the cypress forest or in tunnels used for roadworks. By chance their leader Mack could rent a house from Lee Chong. It is worth mentioning that, that they won't be able to pay the rent was known to both Lee Chong as well as Mack. Anyway, the vagabonds moved in the house. They were overwhelmed by this chance of luck. Made the house their very own out of love and affection, started to make it homely by bringing in different broken and out-of-order furniture.

They loved the Doc very much as a sedentary and gentle human being who helped them time to time. They wanted to throw a surprise party in his honour. But the party goofed up as they became drunk. They broke a lot of things out of drunkenness. Rumours spreaded that they tried to ransack the Doc's house and equipment and everybody started to hate and blame them. They became more depressed, they felt like good-for-nothing or like total rubbish.

After some time the situation started changing. The depression era started to ease; smile and happiness started to show up again. They tried to arrange another party and became successful this time. Everybody joined the party spontaneously, the Doc was overwhelmed and the inhabitants of that region were delighted to have a good time with their loving Doc even amidst their poor and depressing situation.

The story is picturesque where everything is depicted in great details, but without exaggeration. The grocer Lee and his shop, the Doc and his different types of animals like frog, starfish, Mack and his fellow vagabonds, the brothel led by Dora Flood - everything seems to be just attached rightly to the right spot of that picture. There is humouros touch in places that erases the 'depression' that one might feel going through the 'depressed' life of the poor and downtrodden (see some of the quotes). Capturing frogs, throwing a party, goofing up the party, Lee Chong's grocery - everything has its own humourous touch (but not exaggerated) while we feel the actual real-life events happening there.

We need to find piece and happiness even amidst our pain and grievances. Man needs to live on hope - every cloud has a silver lining, gloom and darkness should go away and happiness should smile in. When the homeless people found a shelter, they started to beautify that humble and petty home with broken furniture, they tried to implant flowers in broken flower-pots to smell the flower, to see its beauty - these heart-felt love was their hope for life.

Everyone's enthusiasm for the party - a little difference from the monotonous day-to-day life, a little relief, a little break, love and affection from depressed poor people, going to jail because of stealing things for the party, the grooming of the ladies of Dora Flood's brothel, their enthusiastic participation - they are part of the society, they are part of the family - as if it should be like that.

It feels like a beautiful craft made of light and darkness, a craft somewhat like an Aboriginal dot art (In Australia, the Aborigines do a special drawing with dots where a lot of dots of different colours develop an art painting. Google for 'Aboriginal dot art' for more details.).

John Steinbeck was awarded Nobel in 1962 in literature for depicting realistic and imaginative themes together with deep social perceptions that are put forth with sympathetic humours to those social characters and lives.

I read the Bangla translation from Dr. Ovijit Dutt. Nice one.

There is a 1982 movie based on the novel and its sequel starring Nick Nolte and Debra Winger.

Book cover from: https://www.behance.net/gallery/8372477/John-Steinbeck-Covers

Quotes:

"In the pipes and under the cypress-tree there had been no room for furniture and the little niceties which are not only the diagnoses but the boundaries of our civilization. Once in the Palace Flop-house, the boys set about furnishing it. A chair appeared and a cot and another chair. A hardware store supplied a can of red paint not reluctantly because it never knew about it, and as a new table or footstool appeared it was painted, which not only made it very pretty but also disguised it to a certain extent in case a former owner looked in."

"The next day Mack puffed up the hill carrying a rusty set of springs he had found on a scrap-iron dump. The apathy was broken then. The boys outnumbered one another in beautifying the Palace Flophouse until after a few months it was, as anything, over-furnished. There were old carpets on the floor, chairs with and without seats. Mack had a wicker chaise-lounge painted bright red. There were
tables, a grandfather clock without dial face or works. The walls were whitewashed, which made it almost light and airy. Pictures began to appear — mostly calendars showing improbable luscious blondes holding bottles of Coca-Cola. Henri had contributed two pieces from his chicken-feather period. A bundle of gilded cat-tails stood in one corner and a sheaf of peacock-feathers was nailed to the wall beside the grandfather clock."

"Hazel got his name in as haphazard a way as his life was ever afterward. His worried mother had had seven children in eight years. Hazel was the eighth, and his mother became confused about his sex when he was born. She was tired and run down anyway from trying to feed and clothe seven children and their father. She had tried every possible way of making money — paper flowers, mushrooms at home, rabbits for meat and fur — while her husband from a canvas chair gave her every help with his advice and reasoning and criticism he could offer. She had a great aunt named Hazel who was reputed to carry life insurance. The eighth child was named Hazel before the mother got it through her head that Hazel was a boy and by that time she was used to the name and never bothered to change it."

"Early morning is a time of magic in Cannery Row. In the grey time after the light has come and before the sun has risen, the Row seems to hang suspended out of time in a silvery light. The street lights go out, and the weeds are a brilliant green. The corrugated iron of the caimeries glows with the pearly lucence of platinum or old pewter. No auto-mobiles are running then. The street is silent of progress and business. And the rush and drag of the waves can be heard as they splash in among the piles of the canneries. It is a time of great peace, a deserted tune, a little era of rest. Cats drip over the fences and slither like syrup over the ground to look for fish-heads. Silent early morning dogs parade majestically picking and choosing judiciously where-on to pee. The sea-gulls come flapping in to sit on the cannery roofs to await the day of refuse. They sit on the roof peaks shoulder to shoulder. From the rocks near the Marine Station comes the barking of sea-lions like the baying of hounds."

Saturday, January 12, 2019

Book Review - Choturongo (Maybe translated as: Four Parts)


Author: Rabindranath Tagore (1861-1941)

Publication year: 1916
Category/tags: Theism, atheism, human emotions, philosophy, Platonic love, spirituality, mysticism
Language: Bangla

Story:
গল্পটি বলছে শ্রীবিলাস নাম এক তরুণ, গল্পে আছে আরো তিনটি চরিত্র। তাই একসাথে তারা হলো চার। গল্পের নামের এটাই অর্থ - চতুরঙ্গ - চতুঃ + অঙ্গ = চতুরঙ্গ বা চারটি অঙ্গ।

গল্পটি শুরু হয় জগমোহন আর শচীশকে নিয়ে। জগমোহন এক মুক্তচিন্তার মানুষ। তিনি শচীশের চাচা। অন্যদিকে তার ভাই হরিমোহন এক গোঁড়া হিন্দু কুলীন ব্যক্তি। হরিমোহনের দুই ছেলে - একজন পুরন্দর যে কিনা বাবার অত্যধিক আদর-আহলাদে ননীর পুতুলের মতো বড় হয়েছে, আরেকজন শচীশ, যে কিনা চাচার উদার মুক্তচিন্তার ছায়াতলে উদারমনস্কভাবে বড় হয়েছে।

বাড়িতে একদল মুসলমান দাওয়াত করে খাওয়ানোর পরে দুই ভাইয়ের রেষারেষি চূড়ান্তে পৌঁছায়; বাড়ির মধ্যে দুই ভাইয়ের থাকার জায়গা পাঁচিল দিয়ে আলাদা করে ফেলা হয়। রেষারেষি আগেও ছিল, কারণ পৃথিবীতে গোঁড়ামি আর উদারপন্থা কখনোই শান্তিতে একসাথে থাকতে পারে না, পারার কথাও না। যাহোক, শচীশ তার চাচার সাথেই থেকে গেলো। কিন্তু তার বাবার সামাজিক কুচক্রান্তে (যেমন, তার বাবা বলে বেড়ালো যে, জগমোহন শচীশকে কাছে রেখেছে যেন খাওয়া-পরা চালিয়ে নিতে পারে) শচীশ তার চাচাকে ছাড়তে বাধ্য হলো। কিন্তু সে তার বাবার জায়গায় ফিরে গেলো না, জায়গা নিলো একটা মেসে।

একদিন শচীশ তার চাচার বাসায় নিয়ে এলো ননী নামে এক কমবয়সী এতিম, বিধবা মেয়েকে যাকে পুরন্দর শারীরিকভাবে ভোগ করেছে, কিন্তু তার দায়-দায়িত্ব না নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। জগমোহন তাকে 'মা' বলে ডেকে তাকে বুকে তুলে নিলো, বাসায় আশ্রয় দিলো। এখন হরিমোহন আর আশেপাশের লোকজন নতুন করে কুৎসা রটাতে লাগলো যে জগমোহন এক পতিতাকে আশ্রয় দিয়েছে।

ননীকে তাড়াবার জন্য পুরন্দর আর তার বাবার একের পর এক চেষ্টার পর শচীশ সিদ্ধান্ত নিলো ননীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করার। পুত্রের সিদ্ধান্তে তার বাবা যারপরনাই বিরক্ত হলেন। কিন্তু তীব্র মানসিক টানাপোড়েনে ননী এটা শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলো না - এই কুৎসিত সমাজে জগমোহন তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, তার হাতের খাবার ছাড়া জগমোহন খেতে চাইতো না, তার মতো 'পাপিষ্ঠা'কে জগমোহন মায়ের মর্যাদা দিয়ে ধরে রেখেছিলো, তার মতো 'পাপিষ্ঠা'কে বিয়ে করে শচীশ সমাজের অনাগত রক্তচক্ষু থেকে তাকে বাঁচাতে চাইছে - এই সবকিছু তাকে তীব্র আবেগের তাড়নায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলো।

একসময় কলকাতায় প্লেগের মহামারী শুরু হলো। শচীশ আর জগমোহন রোগীদের সেবা করা আর মৃতদের কবর দেবার জন্য রয়ে গেলো। একসময় জগমোহন নিজেও প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। তার মৃত্যুর পর শচীশকে আর ধরে রাখা গেলো না। সে সব পার্থিব কাজকর্মের প্রতি উদাস হয়ে মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। একসময় স্থানীয় আধ্যাত্মিক কীর্তন গায়কদলের সাথে যোগ দিয়ে তাদের মতোই ভবঘুরে হয়ে গেলো।

এই ব্যাপারটা কিন্তু জগমোহনের শিক্ষার বিরোধী - সে এসব আধ্যাত্মবাদের ধার ধারতো না, পৃথিবীর মাঝে লোকের সেবাযত্ন করাটাই তার কাছে বেঁচে থাকার অর্থ। কিন্তু শচীশ পারলো না; চাচার মৃত্যুর পর সে মানসিকভাবে এতোই অস্থির হয়ে গেলো যে, সে এই উদাসপথেই যোগ দিলো, এখানেই সে শান্তি পেলো। ঈশ্বর, প্রকৃতি, অনন্ত যাই বলি - এই আধ্যাত্মবাদকেই সে ভালোবাসলো।

তার সাথে সাথে গল্পের কথক শ্রীবিলাসও সেই আশ্রমে যোগ দিলো। সেখানে তাদের পরিচয় হলো অল্পবয়সী বিধবা দামিনীর সাথে। দামিনী ছিল বিদ্রোহী মনের - এইসব 'বাস্তবতাবিরোধী' আর 'অপার্থিব' আধ্যাত্মবাদে নিজেকে নিবেদন করে পৃথিবীর ভাব-ভালোবাসা ভুলে যাবার বিরোধী সে। শচীশকে সে ভালোবাসে। কিন্তু শচীশের কোনো হুঁশ নাই, সে এসব পার্থিব ভাব-ভালোবাসার উর্দ্ধে চলে গেছে। দামিনী গল্পকথক শ্রীবিলাসের সাথে খুব বেশি বেশি বন্ধুর মতো মিশে শচীশকে ঈর্ষাপরায়ণ করে তুললো। এতে শচীশের মনে তীব্রভাবে নাড়া লাগলো, অনন্তের প্রতি তার নিবেদন আর পার্থিব ভালোবাসার মধ্যে এক তীব্র টানাটানির মধ্যে ছিঁড়ে-খুঁড়ে যেতে লাগলো।

শেষমেশ শচীশ আধ্যাত্মবাদেই থেকে গেলো। অপার্থিবকে ত্যাগ করে পার্থিব বন্ধনের কাছে, দামিনীর কাছে সে ফিরতে পারলো না।

অবশেষে গল্পের কথক শ্রীবিলাস তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা চমৎকার ভালোবাসাময় জীবন কাটায়। পুরো সময়টা অধরা ভালোবাসার মাঝে হুটোপুটি খেয়ে দামিনী শেষ পর্যন্ত অনুভব করে যে, আরো একজন আছে যে তাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসে। এটা একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি যেখানে দুজন দুজনকে ভালোবাসে, কিন্তু তাদের ভালোবাসায় আরো একজন আছে যে পার্থিব ভালোবাসার উর্দ্ধে উঠে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ায়, তার খাওয়া-পরার যেন কষ্ট না হয়, সেদিকেও তারা খেয়াল রাখে।

গল্পটা খুব সুন্দর। এখানে অনেক কিছু বলা হয়েছে। এখানে আছে প্লেটোনিক ভালোবাসা, অনুরাগ। নিষ্ঠুর সামাজিক আচার-বিধির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আছে, বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি সমাজের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে। জাতিগত ভেদাভেদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে (বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে রেষারেষি, যেখানে সেই সময়ে মুসলিমরা ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু সুবিধাবঞ্চিত ছিল)। গল্পের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট মজাদার লাইন আছে যা গল্পটিকে আরো সুপাঠ্য করেছে। অনেক অনেক চমৎকার রূপক উদাহরণ আছে, যা পাঠককে ভাবতে শেখাবে। আমি সাহিত্য-সমালোচক নই, শুধুমাত্র সারাংশ লেখার চেষ্টা করেছি। এতো চমৎকার গল্পের সারাংশ লেখাটা আসলে বাতুলতা (যেকোনো গল্পের সারাংশ আসলে কখনোই সম্পূর্ণতা পায় না; এখানে ভালো কিছু থাকলে সেটা হচ্ছে গল্পটার সাথে পরিচিত হওয়া)। শুধুমাত্র এই সুন্দর গল্পটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই এই অপচেষ্টা। ভাব-ভালোবাসার গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক চমৎকার সৃষ্টি এই গল্পটি।

বাংলা পিডিএফ এখানে পাওয়া যাবে: https//bdebooks.com/books/chaturanga-by-rabindranath-tagore

ইংরেজি ট্রান্সলেশন আছে Amazon-এ:
https://www.amazon.com/Quartet-CHATURANGA-Rabindranath-Tagore/dp/043595086X

এখানে আরো বিস্তারিত পাবেন গল্পটি অবলম্বনে যে মুভিটি বানানো হয়েছে তার সারাংশ: http://rupkatha.com/V2/n4/24TagoreChaturangaFilm.pdf

এখানে আরেকটি বিশ্লেষণ:
https://core.ac.uk/download/pdf/2785169.pdf

উদ্ধৃতি:
........
শাস্ত্রে স্ত্রীপশু-বলি নিষেধ, কিন্তু মানুষের বেলায় ঐটেতেই সবচেয়ে উল্লাস।

........
প্রকৃতির স্রোতের ভিতর দিয়াই আমাদিগকে জীবনতরী বাহিয়া চলিতে হইবে। আমাদের সমস্যা এ নয় যে, স্রোতটাকে কি করিয়া বাদ দিব; সমস্যা এই যে, তরী কি হইলে ডুবিবে না, চলিবে। সেইজন্যই হালের দরকার।

........
জীবনের পর্দার আড়ালে অদৃশ্য হাতে বেদনার যে জাল বোনা হইতে থাকে তার নকশা কোনো শাস্ত্রের নয়, ফরমাশের নয় - তাইতো ভিতরে বাহিরে বেমানান হইয়া এতো ঘা খাইতে হয়, এতো কান্না ফাটিয়া পড়ে।

........
সংসার মানুষকে পোদ্দারের মতো বাজাইয়া লয়, শোকের ঘা, ক্ষতির ঘা, মুক্তির লোভের ঘা দিয়া। যাদের সুর দুর্বল, পোদ্দার তাহাদিগকে টান মারিয়া ফেলিয়া দেয়; এই বৈরাগীগুলো সেই ফেলিয়া দেওয়া মেকি টাকা, জীবনের কারবারে অচল। অথচ এরা জাঁক করিয়া বেড়ায় যে, এরাই সংসার ত্যাগ করিয়াছে। যার কিছুমাত্র যোগ্যতা আছে সংসার হইতে তার কোনোমতে ফসকাইবার  জো নাই। শুকনো পাতা গাছ হইতে ঝরিয়া পড়ে, গাছ তাহাকে ঝরাইয়া ফেলে বলিয়াই - সে যে আবর্জনা।

........
নাস্তিকের পক্ষে লোকের ভালো করার মধ্যে নিছক নিজের লোকসান ছাড়া আর কিছুই নাই - তাহাতে না আছে পূণ্য, না আছে পুরস্কার, না আছে কোনো দেবতা বা শাস্ত্রের বকশিশের বিজ্ঞাপন বা চোখ-রাঙানি। যদি কেহ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিত, 'প্রচুরতম লোকের প্রভুততম সুখসাধনে' আপনার গরজটা কি? তিনি বলিতেন, কোন গরজ নাই, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় গরজ।

........
গল্পই লোকের বিশ্বাস কাড়িবার জন্য সাবধান হইয়া চলে, সত্যের সে দায় নাই বলিয়া সত্য অদ্ভুত হইতে ভয় করে না।

================================================================
The story is narrated by Sribilash, a juvenile who comes in contact with three other characters. Together they make four - that is the meaning of the story 'Choturongo' - Chotuh + Ongo = four parts.

The story starts with Jagomohon and Sachish. Jagomohon - who is an unorthodox person - is the uncle of Sachis. On the other hand Jagomohon's brother Horimohon is extremely religious. He had two sons - Purondor and Sachis. Purondor is spoiled through his father's extreme indulgence, whereas Sachis grows up under the shade of genourous secular views of his uncle.

After inviting a couple of Muslims to their house, the relation between brother breaks and a wall is raised in the house. It was never so cool as extreme and secular religious views never stayed in harmony in the world, and honestly they cannot. Anyway, Sachis stayed with his uncle. After his father's extreme social politics (like Jagomohon is using Sachis to get money for living) he had to leave the house, but refused to go back to his father's den and started staying in a mess.

One day, Sachis brought to his uncle's house an orphan, widowed young lady named Noni who was molested by Purondor, but he didn't take the responsibility and drove her away. Jagomohon called her a 'mother' and let her stay in the house. Now Horimohon and the surrounding people of the society started scandals against Jagomohon that he gave shelter to a prostitute.

After Purondor's and his father's several attempts to oust the lady, Sachis decided to marry her. Sachis's father was severely disturbed by his son's decision. Noni, however, couldn't make it through because of extreme mental turbulence of emotions - that Jagomohon gave her shelter over the filthy society, that he couldn't eat without her cooking, that he loved a 'sinful' lady like her as a mother, that Sachis is going to marry a 'sinful' lady like her to save from upcoming social attacks.

At a point there was plague epidemic in Calcutta. Sachis and Jagomohon stayed back curing the patients or burying the deads. Jagomohon caught plague at a point and died. Now Sachis became unstable and lost attraction in all mundane activities and joined a local spiritual kirtan chanters' group and became vagabond with them.

This was against the teachings of Jagomohon - he didn't like spiritual path but wanted to live and help people in however he can; this is what a meaningful life is like to him. But Sachis couldn't but indulge into it; he is so traumatised after his uncle's death that he found peace in spirituality. He fell in love with eternity, God, nature - whatever you call.

Along with him, the narrator Sribilash also joined the group. There they met the lady Damini who is young widow. Damini is a young revolt - doesn't want to succumb to this 'unrealistic' and 'un-mundanely' spirituality to forget the world, love and affection by submitting to eternity. She loves Sachis, but he is indifferent; he is already above these humanely emotions. However, Damini makes him envious by befriending the narrator Sribilash. Sachis is stirred and passes through extreme tug-of-war between his devotion to eternity and coming back to loving earth.

Sachish ultimately could not come back from his devotion to eternity. So he could not get back to Damini as a mundane human bonding.

The narrator Sribilash married her eventually. After the marriage they had a happy love life. Blinded by uncatchable love the whole time, Damini felt that she has somebody else to love which now she has. This is a very complex scenario where they had a happy life, however they both loved vagabond Sachish and took every care of him.

The story is very much enjoyable. It includes a bunch of different things. There is inclusion of platonic love and devotions. The story revolts against cruel social dogmas and traits, especially to women. It stands strong against racial discrimination (especially Hindu-Muslim relations where Muslims were less privileged in those decades and in those regions). The auther put forth an enjoyable reading with minor bits of humorous lines at several places. A lot of wonderful allegories are also out there that emphasizes thinking high. I am not a literature-critic, I just tried to summarise. Such a wonderful art cannot be summarised really. (Any attempt to summarise any story is perhaps always incomplete; the one good thing in there however, is the acquaintance). This is just a little endeavour to acquaint with this wonderful story. This is a wonderful piece of work from the master of love and emotion Rabindranath Tagore.

Bangla PDF available at: https//bdebooks.com/books/chaturanga-by-rabindranath-tagore

English translation is available at Amazon:
https://www.amazon.com/Quartet-CHATURANGA-Rabindranath-Tagore/dp/043595086X

Following link has a better and detailed discussion on the film that was based on the novel:
http://rupkatha.com/V2/n4/24TagoreChaturangaFilm.pdf

Another analysis here:
https://core.ac.uk/download/pdf/2785169.pdf

Quotes:

..........
In scripture it is prohibited to sacrifice animals of the female-kind; however in case of humans, that is the real delight that people feel. ['sacrifice' here is meant to be traumatizing or torturing]

..........
We have to row our 'life' boat through this lifely stream. How we can evade the stream and move on is not the problem. The problem is how to keep the boat afloat and moving. That's why we need rudder.

..........
The pattern of the pain and agony that is woven behind the curtain of our day-to-day life doesn't follow any scripture or decree. That's why the inharmonious inside and outside cause so much pain and agony.

..........
Life tests human beings like a money-changer by blowing him with grievance, loss or craving for freedom. Those who are weak, the money-changer throws them away; these anchorites are like those invalid coins - obsolete for life. But see, these are the people who boast as if they have left the mundane activities on their own. If somebody has the slightest ability, there is no way for him/her to leave this family/worldly activities. Dry leaves fall from tree because the tree sheds them away - these are rubbish.

..........
There is nothing but loss for an atheist to help other human beings - there is no virtue it it, no reward, neither any awarding advertisement nor any frowing from any scripture or god. If somebody would ask him, what is your urgency in making 'an abundance of people' to be 'bountifully happy'? He would say, that there is no real urgency - that is my devotion.

..........
Rumours need to be careful as they need to gain people's favour. Truth doesn't need that; that is why it is not afraid to be bold or weird.

[Image from: http://www.librariabucuresti.com/Carti-Chaturanga-5324.htm]

Friday, January 4, 2019

Book Review - A Connecticut Yankee in King Arthur's Court

Story: A Connecticut Yankee in King Arthur's Court
Author: Mark Twain (1835-1910)

Category: Satire, Adventure, Time Travel, Children's Literature
Publication Year: 1889



Summary:
আমেরিকার কানেকটিকাটে ছিল হ্যাংক নামে এক ইঞ্জিনিয়ার। একদিন এক সহকর্মীর সাথে ঝগড়ার সময় সহকর্মী তার মাথায় দিলো এক রদ্দা। সেই ঘা খেয়ে হ্যাংক গেল অজ্ঞান হয়ে। জ্ঞান ফিরলে সে দেখলো, আরে, কোথায় কানেকটিকাট? এ তো দেখি ষষ্ঠ শতাব্দী (৫০০-৬০০ খ্রিষ্টাব্দ), রাজা আর্থারের রাজত্ব! কোন এক জাদুবলে সে সময়ের মারপ্যাচে ষষ্ঠ শতাব্দীতে এসে পড়েছে।

উদ্ভট জামাকাপড়ের জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো। পরদিন তাকে পুড়িয়ে মারা হবে। ভাগ্যক্রমে পরের দিন ছিল সূর্যগ্রহণ। সে তা জানতো, আর সেই পুরনো কৌশল অবলম্বন করে (কলম্বাসের মতো), সূর্যকে গায়েব করে দেবার নাম করে নিজেকে প্রবল প্রতাপশালী এক জাদুকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলো। শুধু তাই না, সে প্রধানমন্ত্রীর পদ দাবি করলো। বাঁচার জন্য তাকে সবই দেয়া হলো, আর সে শুরু করলো ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তার গোপন কাজকর্ম।

এক পর্যায়ে সে আর রাজা আর্থার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দেখতে বেরুলো। ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে দাস-ব্যবসায়ীরা তাদেরকে দাস হিসেবে বন্দী করলো। সেখানে গ্যাঞ্জাম বাধানোর পরে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর ব্যবস্থা করা হলো, সময়মতো রাজার লোকজন এসে পড়ায় সে যাত্রা জানে বাঁচলো।

পুরো গল্পই এরকম আরো অনেক মজার মজার অভিযানে ভরা। অভিযানগুলো শুধু মজারই না, সেই সাথে এগুলো মধ্যযুগীয় সমস্যাগুলোও তুলে ধরেছে। যেমন, নিরীহ মানুষজন বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেল খাটে যেখানে রাজা-রাণীর কোনো হুঁশই নাই এ ব্যাপারে, আবার কোথাও মানুষজন রাজতন্ত্র হঠিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে - এরকম আরো নানান রকম মজার মজার ঘটনা। রাজতন্ত্রের হাস্যকর নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে মার্ক টোয়েন তার স্বভাবজাত ব্যঙ্গবিদ্রূপ দিয়ে লিখেছেন। আসলে লেখক রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনেক গল্পেই লিখেছেন, যেমন আরেকটি গল্পের উদাহরণ দেয়া যায় 'The Prince and The Pauper'।

চার্চ দেখলো, এ তো ভারী উৎপাত! হ্যাংক আর রাজা তো দেখি আমাদের প্রভাব বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করছে! তারা কৌশলে হ্যাংক আর তার পরিবারকে দূরে ভ্রমণে পাঠিয়ে দিলো। এদিকে রাজা আর্থার মারা পড়লো রাণীর প্রেমিকের হাতে। দেশের এই অবস্থায় চার্চ সমন জারি করলো হ্যাংকের বিরুদ্ধে। হ্যাংক এক গুহার মধ্যে তার পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে আস্তানা গাড়লো। তারা ইলেকট্রিক তারের বেড়া, কামান, গুলি এগুলো নিয়ে নাইটদের সাথে যুদ্ধ করলো। হ্যাংক আহত হয়ে শয্যাশায়ী হলো। এরপর জাদুকর মার্লিন তাকে জাদু দিয়ে ১৩০০ বছরের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দিলো।

গল্পে রাজতন্ত্র, অন্ধবিশ্বাস, দাসপ্রথা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, তৎকালীন চার্চের নিপীড়ন - এগুলোর বিরুদ্ধে বিদ্রূপ করা হয়েছে। ছদ্মবেশে দেশ পরিভ্রমণের সময় সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট, দাসপ্রথা - এগুলোর বিরুদ্ধে রাজার বোধোদয়, এবং এগুলো বন্ধ করার জন্য তার দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে লেখক তার মনের ইচ্ছাটাই প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের অর্থহীন সরলতা, যার জন্য তারা সুবিধাবাদীদের ধোঁকা খায়, সেই দিকটা তুলে ধরা হয়েছে। সর্বোপরি, মুক্তভাবে চিন্তা-ভাবনায় বাধা দেয়ার জন্য চার্চের সমালোচনা করা হয়েছে।

গল্পটি প্রথম দিককার টাইম ট্রাভেল গল্পগুলোর সূচনা করে। যেমন পরবর্তীতে এইচ জি ওয়েলস তার 'দ্য টাইম মেশিন' গল্পটি লেখেন সময় পরিভ্রমণের ওপর।

চমৎকার মজাদার গল্প। আমি পড়েছি সেবা প্রকাশনীর কাজী শাহনূর হোসেনের বাংলা অনুবাদ। সুন্দর অনুবাদ।

==============================================
The story is a first-person narrative, narrated by Hank who is an engineer of Connecticut. He faints after getting a blow from a colleague in the head. When he wakes up, he finds himself back in 6th century at King Arthur's reign. That is, somehow he got transported through time.

He was sentenced to death by burning at stakes for his different dress-up. Luckily, the next day was a solar eclipse. Using the solar eclipse trick (like Columbus), he proved himself as a powerful magician. He became 'The Boss' and was appointed as the prime minister. He started to develop different types of engineering activities like telegraph, electricity etc.

After restoring the fountain of a holy place, he and the king set out in disguise to see the condition of common people. They were caught up as slaves, and later were sent to gallows. However, in due time was saved by the royal guards.

The story narrates such many more interesting adventures throughout the book. Such adventures not only are full of fun, but also reveals medieval age problems. For example, innocent people being punished without proper judgement where the ruling king doesn't even bother to know about it, people fighting for democracy by ousting monarchy and many such things. Mark Twain stood against the funny aspects of monarchy through his usual elegant satires. Actually such satires against monarchy is also observable in his other story 'The Prince and The Pauper'.

The church, finding Hank and the king as a threat to the religion, tricks Hank to sail far away, while they ruled out 'interdict'; thus, common people took them as enemies. Hank built fortification around a cave and survived the attack by the knights. But he was wounded and was set to sleep for 1300 years by the evil magician Merlin.

The story mocks at monarchy (kingship), superstitions, medieval-age slaveries, gullibility and churches. While visiting the countryside in disguise, King Arthur felt the need to abolish slavery. People had been too gullible to believe in magical tricks. Churches were oppressive against opinions and free-thinking.

Interestingly, this book led to time travel themes that prominent writers later adopted in their novels. E.g., 'The Time Machine' by H. G. Wells.

Pleasant reading. I read the Bangla translation from by Kazi Shahnur Hossain published Seba Prokashoni. Pleasant translation.

Book Cover: https://www.abebooks.com/first-edition/Connecticut-Yankee-King-Arthurs-Court-Twain/8690113606/bd