Author: Rabindranath Tagore (1861-1941)
Publication year: 1916
Category/tags: Theism, atheism, human emotions, philosophy, Platonic love, spirituality, mysticism
Language: Bangla
Story:
গল্পটি বলছে শ্রীবিলাস নাম এক তরুণ, গল্পে আছে আরো তিনটি চরিত্র। তাই একসাথে তারা হলো চার। গল্পের নামের এটাই অর্থ - চতুরঙ্গ - চতুঃ + অঙ্গ = চতুরঙ্গ বা চারটি অঙ্গ।
গল্পটি শুরু হয় জগমোহন আর শচীশকে নিয়ে। জগমোহন এক মুক্তচিন্তার মানুষ। তিনি শচীশের চাচা। অন্যদিকে তার ভাই হরিমোহন এক গোঁড়া হিন্দু কুলীন ব্যক্তি। হরিমোহনের দুই ছেলে - একজন পুরন্দর যে কিনা বাবার অত্যধিক আদর-আহলাদে ননীর পুতুলের মতো বড় হয়েছে, আরেকজন শচীশ, যে কিনা চাচার উদার মুক্তচিন্তার ছায়াতলে উদারমনস্কভাবে বড় হয়েছে।
বাড়িতে একদল মুসলমান দাওয়াত করে খাওয়ানোর পরে দুই ভাইয়ের রেষারেষি চূড়ান্তে পৌঁছায়; বাড়ির মধ্যে দুই ভাইয়ের থাকার জায়গা পাঁচিল দিয়ে আলাদা করে ফেলা হয়। রেষারেষি আগেও ছিল, কারণ পৃথিবীতে গোঁড়ামি আর উদারপন্থা কখনোই শান্তিতে একসাথে থাকতে পারে না, পারার কথাও না। যাহোক, শচীশ তার চাচার সাথেই থেকে গেলো। কিন্তু তার বাবার সামাজিক কুচক্রান্তে (যেমন, তার বাবা বলে বেড়ালো যে, জগমোহন শচীশকে কাছে রেখেছে যেন খাওয়া-পরা চালিয়ে নিতে পারে) শচীশ তার চাচাকে ছাড়তে বাধ্য হলো। কিন্তু সে তার বাবার জায়গায় ফিরে গেলো না, জায়গা নিলো একটা মেসে।
একদিন শচীশ তার চাচার বাসায় নিয়ে এলো ননী নামে এক কমবয়সী এতিম, বিধবা মেয়েকে যাকে পুরন্দর শারীরিকভাবে ভোগ করেছে, কিন্তু তার দায়-দায়িত্ব না নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। জগমোহন তাকে 'মা' বলে ডেকে তাকে বুকে তুলে নিলো, বাসায় আশ্রয় দিলো। এখন হরিমোহন আর আশেপাশের লোকজন নতুন করে কুৎসা রটাতে লাগলো যে জগমোহন এক পতিতাকে আশ্রয় দিয়েছে।
ননীকে তাড়াবার জন্য পুরন্দর আর তার বাবার একের পর এক চেষ্টার পর শচীশ সিদ্ধান্ত নিলো ননীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করার। পুত্রের সিদ্ধান্তে তার বাবা যারপরনাই বিরক্ত হলেন। কিন্তু তীব্র মানসিক টানাপোড়েনে ননী এটা শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলো না - এই কুৎসিত সমাজে জগমোহন তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, তার হাতের খাবার ছাড়া জগমোহন খেতে চাইতো না, তার মতো 'পাপিষ্ঠা'কে জগমোহন মায়ের মর্যাদা দিয়ে ধরে রেখেছিলো, তার মতো 'পাপিষ্ঠা'কে বিয়ে করে শচীশ সমাজের অনাগত রক্তচক্ষু থেকে তাকে বাঁচাতে চাইছে - এই সবকিছু তাকে তীব্র আবেগের তাড়নায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলো।
একসময় কলকাতায় প্লেগের মহামারী শুরু হলো। শচীশ আর জগমোহন রোগীদের সেবা করা আর মৃতদের কবর দেবার জন্য রয়ে গেলো। একসময় জগমোহন নিজেও প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। তার মৃত্যুর পর শচীশকে আর ধরে রাখা গেলো না। সে সব পার্থিব কাজকর্মের প্রতি উদাস হয়ে মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। একসময় স্থানীয় আধ্যাত্মিক কীর্তন গায়কদলের সাথে যোগ দিয়ে তাদের মতোই ভবঘুরে হয়ে গেলো।
এই ব্যাপারটা কিন্তু জগমোহনের শিক্ষার বিরোধী - সে এসব আধ্যাত্মবাদের ধার ধারতো না, পৃথিবীর মাঝে লোকের সেবাযত্ন করাটাই তার কাছে বেঁচে থাকার অর্থ। কিন্তু শচীশ পারলো না; চাচার মৃত্যুর পর সে মানসিকভাবে এতোই অস্থির হয়ে গেলো যে, সে এই উদাসপথেই যোগ দিলো, এখানেই সে শান্তি পেলো। ঈশ্বর, প্রকৃতি, অনন্ত যাই বলি - এই আধ্যাত্মবাদকেই সে ভালোবাসলো।
তার সাথে সাথে গল্পের কথক শ্রীবিলাসও সেই আশ্রমে যোগ দিলো। সেখানে তাদের পরিচয় হলো অল্পবয়সী বিধবা দামিনীর সাথে। দামিনী ছিল বিদ্রোহী মনের - এইসব 'বাস্তবতাবিরোধী' আর 'অপার্থিব' আধ্যাত্মবাদে নিজেকে নিবেদন করে পৃথিবীর ভাব-ভালোবাসা ভুলে যাবার বিরোধী সে। শচীশকে সে ভালোবাসে। কিন্তু শচীশের কোনো হুঁশ নাই, সে এসব পার্থিব ভাব-ভালোবাসার উর্দ্ধে চলে গেছে। দামিনী গল্পকথক শ্রীবিলাসের সাথে খুব বেশি বেশি বন্ধুর মতো মিশে শচীশকে ঈর্ষাপরায়ণ করে তুললো। এতে শচীশের মনে তীব্রভাবে নাড়া লাগলো, অনন্তের প্রতি তার নিবেদন আর পার্থিব ভালোবাসার মধ্যে এক তীব্র টানাটানির মধ্যে ছিঁড়ে-খুঁড়ে যেতে লাগলো।
শেষমেশ শচীশ আধ্যাত্মবাদেই থেকে গেলো। অপার্থিবকে ত্যাগ করে পার্থিব বন্ধনের কাছে, দামিনীর কাছে সে ফিরতে পারলো না।
অবশেষে গল্পের কথক শ্রীবিলাস তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা চমৎকার ভালোবাসাময় জীবন কাটায়। পুরো সময়টা অধরা ভালোবাসার মাঝে হুটোপুটি খেয়ে দামিনী শেষ পর্যন্ত অনুভব করে যে, আরো একজন আছে যে তাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসে। এটা একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি যেখানে দুজন দুজনকে ভালোবাসে, কিন্তু তাদের ভালোবাসায় আরো একজন আছে যে পার্থিব ভালোবাসার উর্দ্ধে উঠে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ায়, তার খাওয়া-পরার যেন কষ্ট না হয়, সেদিকেও তারা খেয়াল রাখে।
গল্পটা খুব সুন্দর। এখানে অনেক কিছু বলা হয়েছে। এখানে আছে প্লেটোনিক ভালোবাসা, অনুরাগ। নিষ্ঠুর সামাজিক আচার-বিধির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আছে, বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি সমাজের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে। জাতিগত ভেদাভেদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে (বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে রেষারেষি, যেখানে সেই সময়ে মুসলিমরা ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু সুবিধাবঞ্চিত ছিল)। গল্পের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট মজাদার লাইন আছে যা গল্পটিকে আরো সুপাঠ্য করেছে। অনেক অনেক চমৎকার রূপক উদাহরণ আছে, যা পাঠককে ভাবতে শেখাবে। আমি সাহিত্য-সমালোচক নই, শুধুমাত্র সারাংশ লেখার চেষ্টা করেছি। এতো চমৎকার গল্পের সারাংশ লেখাটা আসলে বাতুলতা (যেকোনো গল্পের সারাংশ আসলে কখনোই সম্পূর্ণতা পায় না; এখানে ভালো কিছু থাকলে সেটা হচ্ছে গল্পটার সাথে পরিচিত হওয়া)। শুধুমাত্র এই সুন্দর গল্পটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই এই অপচেষ্টা। ভাব-ভালোবাসার গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক চমৎকার সৃষ্টি এই গল্পটি।
বাংলা পিডিএফ এখানে পাওয়া যাবে: https//bdebooks.com/books/chaturanga-by-rabindranath-tagore
ইংরেজি ট্রান্সলেশন আছে Amazon-এ:
https://www.amazon.com/Quartet-CHATURANGA-Rabindranath-Tagore/dp/043595086X
এখানে আরো বিস্তারিত পাবেন গল্পটি অবলম্বনে যে মুভিটি বানানো হয়েছে তার সারাংশ: http://rupkatha.com/V2/n4/24TagoreChaturangaFilm.pdf
এখানে আরেকটি বিশ্লেষণ:
https://core.ac.uk/download/pdf/2785169.pdf
উদ্ধৃতি:
........
শাস্ত্রে স্ত্রীপশু-বলি নিষেধ, কিন্তু মানুষের বেলায় ঐটেতেই সবচেয়ে উল্লাস।
........
প্রকৃতির স্রোতের ভিতর দিয়াই আমাদিগকে জীবনতরী বাহিয়া চলিতে হইবে। আমাদের সমস্যা এ নয় যে, স্রোতটাকে কি করিয়া বাদ দিব; সমস্যা এই যে, তরী কি হইলে ডুবিবে না, চলিবে। সেইজন্যই হালের দরকার।
........
জীবনের পর্দার আড়ালে অদৃশ্য হাতে বেদনার যে জাল বোনা হইতে থাকে তার নকশা কোনো শাস্ত্রের নয়, ফরমাশের নয় - তাইতো ভিতরে বাহিরে বেমানান হইয়া এতো ঘা খাইতে হয়, এতো কান্না ফাটিয়া পড়ে।
........
সংসার মানুষকে পোদ্দারের মতো বাজাইয়া লয়, শোকের ঘা, ক্ষতির ঘা, মুক্তির লোভের ঘা দিয়া। যাদের সুর দুর্বল, পোদ্দার তাহাদিগকে টান মারিয়া ফেলিয়া দেয়; এই বৈরাগীগুলো সেই ফেলিয়া দেওয়া মেকি টাকা, জীবনের কারবারে অচল। অথচ এরা জাঁক করিয়া বেড়ায় যে, এরাই সংসার ত্যাগ করিয়াছে। যার কিছুমাত্র যোগ্যতা আছে সংসার হইতে তার কোনোমতে ফসকাইবার জো নাই। শুকনো পাতা গাছ হইতে ঝরিয়া পড়ে, গাছ তাহাকে ঝরাইয়া ফেলে বলিয়াই - সে যে আবর্জনা।
........
নাস্তিকের পক্ষে লোকের ভালো করার মধ্যে নিছক নিজের লোকসান ছাড়া আর কিছুই নাই - তাহাতে না আছে পূণ্য, না আছে পুরস্কার, না আছে কোনো দেবতা বা শাস্ত্রের বকশিশের বিজ্ঞাপন বা চোখ-রাঙানি। যদি কেহ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিত, 'প্রচুরতম লোকের প্রভুততম সুখসাধনে' আপনার গরজটা কি? তিনি বলিতেন, কোন গরজ নাই, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় গরজ।
........
গল্পই লোকের বিশ্বাস কাড়িবার জন্য সাবধান হইয়া চলে, সত্যের সে দায় নাই বলিয়া সত্য অদ্ভুত হইতে ভয় করে না।
================================================================
The story is narrated by Sribilash, a juvenile who comes in contact with three other characters. Together they make four - that is the meaning of the story 'Choturongo' - Chotuh + Ongo = four parts.
The story starts with Jagomohon and Sachish. Jagomohon - who is an unorthodox person - is the uncle of Sachis. On the other hand Jagomohon's brother Horimohon is extremely religious. He had two sons - Purondor and Sachis. Purondor is spoiled through his father's extreme indulgence, whereas Sachis grows up under the shade of genourous secular views of his uncle.
After inviting a couple of Muslims to their house, the relation between brother breaks and a wall is raised in the house. It was never so cool as extreme and secular religious views never stayed in harmony in the world, and honestly they cannot. Anyway, Sachis stayed with his uncle. After his father's extreme social politics (like Jagomohon is using Sachis to get money for living) he had to leave the house, but refused to go back to his father's den and started staying in a mess.
One day, Sachis brought to his uncle's house an orphan, widowed young lady named Noni who was molested by Purondor, but he didn't take the responsibility and drove her away. Jagomohon called her a 'mother' and let her stay in the house. Now Horimohon and the surrounding people of the society started scandals against Jagomohon that he gave shelter to a prostitute.
After Purondor's and his father's several attempts to oust the lady, Sachis decided to marry her. Sachis's father was severely disturbed by his son's decision. Noni, however, couldn't make it through because of extreme mental turbulence of emotions - that Jagomohon gave her shelter over the filthy society, that he couldn't eat without her cooking, that he loved a 'sinful' lady like her as a mother, that Sachis is going to marry a 'sinful' lady like her to save from upcoming social attacks.
At a point there was plague epidemic in Calcutta. Sachis and Jagomohon stayed back curing the patients or burying the deads. Jagomohon caught plague at a point and died. Now Sachis became unstable and lost attraction in all mundane activities and joined a local spiritual kirtan chanters' group and became vagabond with them.
This was against the teachings of Jagomohon - he didn't like spiritual path but wanted to live and help people in however he can; this is what a meaningful life is like to him. But Sachis couldn't but indulge into it; he is so traumatised after his uncle's death that he found peace in spirituality. He fell in love with eternity, God, nature - whatever you call.
Along with him, the narrator Sribilash also joined the group. There they met the lady Damini who is young widow. Damini is a young revolt - doesn't want to succumb to this 'unrealistic' and 'un-mundanely' spirituality to forget the world, love and affection by submitting to eternity. She loves Sachis, but he is indifferent; he is already above these humanely emotions. However, Damini makes him envious by befriending the narrator Sribilash. Sachis is stirred and passes through extreme tug-of-war between his devotion to eternity and coming back to loving earth.
Sachish ultimately could not come back from his devotion to eternity. So he could not get back to Damini as a mundane human bonding.
The narrator Sribilash married her eventually. After the marriage they had a happy love life. Blinded by uncatchable love the whole time, Damini felt that she has somebody else to love which now she has. This is a very complex scenario where they had a happy life, however they both loved vagabond Sachish and took every care of him.
The story is very much enjoyable. It includes a bunch of different things. There is inclusion of platonic love and devotions. The story revolts against cruel social dogmas and traits, especially to women. It stands strong against racial discrimination (especially Hindu-Muslim relations where Muslims were less privileged in those decades and in those regions). The auther put forth an enjoyable reading with minor bits of humorous lines at several places. A lot of wonderful allegories are also out there that emphasizes thinking high. I am not a literature-critic, I just tried to summarise. Such a wonderful art cannot be summarised really. (Any attempt to summarise any story is perhaps always incomplete; the one good thing in there however, is the acquaintance). This is just a little endeavour to acquaint with this wonderful story. This is a wonderful piece of work from the master of love and emotion Rabindranath Tagore.
Bangla PDF available at: https//bdebooks.com/books/chaturanga-by-rabindranath-tagore
English translation is available at Amazon:
https://www.amazon.com/Quartet-CHATURANGA-Rabindranath-Tagore/dp/043595086X
Following link has a better and detailed discussion on the film that was based on the novel:
http://rupkatha.com/V2/n4/24TagoreChaturangaFilm.pdf
Another analysis here:
https://core.ac.uk/download/pdf/2785169.pdf
Quotes:
..........
In scripture it is prohibited to sacrifice animals of the female-kind; however in case of humans, that is the real delight that people feel. ['sacrifice' here is meant to be traumatizing or torturing]
..........
We have to row our 'life' boat through this lifely stream. How we can evade the stream and move on is not the problem. The problem is how to keep the boat afloat and moving. That's why we need rudder.
..........
The pattern of the pain and agony that is woven behind the curtain of our day-to-day life doesn't follow any scripture or decree. That's why the inharmonious inside and outside cause so much pain and agony.
..........
Life tests human beings like a money-changer by blowing him with grievance, loss or craving for freedom. Those who are weak, the money-changer throws them away; these anchorites are like those invalid coins - obsolete for life. But see, these are the people who boast as if they have left the mundane activities on their own. If somebody has the slightest ability, there is no way for him/her to leave this family/worldly activities. Dry leaves fall from tree because the tree sheds them away - these are rubbish.
..........
There is nothing but loss for an atheist to help other human beings - there is no virtue it it, no reward, neither any awarding advertisement nor any frowing from any scripture or god. If somebody would ask him, what is your urgency in making 'an abundance of people' to be 'bountifully happy'? He would say, that there is no real urgency - that is my devotion.
..........
Rumours need to be careful as they need to gain people's favour. Truth doesn't need that; that is why it is not afraid to be bold or weird.
[Image from: http://www.librariabucuresti.com/Carti-Chaturanga-5324.htm]
No comments:
Post a Comment