Saturday, January 26, 2019

Book Review: The Cannery Row














Author: John Steinbeck (1902-1968)









Publication Year: 1945
Category/tags: Novel, Great Depression era

Story:

ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরিতে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে আছে ক্যানারি রো নামে এক রাস্তা। একসময় এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্টরি ছিল যেখানে সার্ডিন মাছের ক্যান উৎপাদন করা হতো। সেখান থেকেই
গল্পের নাম 'ক্যানারি রো' (ক্যানারিগুলো এখন বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু সেই রাস্তা আর বন্ধ কারখানাগুলো এখনো সেখানে আছে, গুগলম্যাপে দেখেন)।

'গ্রেট ডিপ্রেশন' যুগে (১৯২৯-১৯৩৯) - যখন সারা পৃথিবী জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে - তারই পটভূমিকায় লেখা এই গল্পটি তখনকার মানুষের সুখ, দু:খ আর প্রতিদিনকার জীবনযাপনের ছবি
তুলে ধরেছে। গল্পটিতে আছে তিনটি প্রধান চরিত্র - লি চং, ডক, আর ম্যাক - সাথে আরো অনেক বিভিন্ন মানুষজন। লি চং এক স্থানীয় মুদি দোকানদার, ডক একজন মেরিন বায়োলজিস্ট, ম্যাক হচ্ছে ওই জায়গার ভবঘুরে মানুষদের নেতা, যারা কোনো কাজ পাচ্ছে না, নিতান্তই হতাশাগ্রস্ত জীবন কাটাচ্ছে, সামান্য যা কিছু উপার্জন ক'রে বা এর-ওর কাছে ধারদেনা করে, এদিক-সেদিক ক'রে যা পায় তাই দিয়ে কোনোমতে জীবনধারণের চেষ্টা করছে।

ভবঘুরে লোকগুলো সাইপ্রেস বনে অথবা রাস্তার কাজে ব্যবহৃত পাইপের মধ্যে দিন কাটায়। ঘটনাক্রমে লি চং-এর কাছ থেকে তাদের নেতা ম্যাক একটা বাড়ি ভাড়া নিতে পারে। বলাই বাহুল্য যে, এই বাড়ির ভাড়া যে তারা দিতে পারবে না, তা লি-ও যেমন জানতো, ম্যাক-ও তেমন জানতো। যাহোক ভবঘুরেরা তাদের বাক্সপেটরা গুছিয়ে বাসায় উঠে এলো। তারা এই সৌভাগ্যে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গেলো। বাসাটাকে তারা খুবই ভালোবেসে ফেললো, এটা-সেটা, ভাঙাচোরা জিনিসপত্র এনে বাসাটা পরম যত্নে সাজাতে শুরু করলো।

ডক-কে তারা সবাই খুব পছন্দ করতো। তিনি ছিলেন সাদাসিধা একজন মানুষ, একাকী জীবন-যাপন করতেন, মাঝে মাঝে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। তারা ডকের সম্মানে একটা সারপ্রাইজ পার্টি দিতে চাইলো। কিন্তু তারা মাতাল হয়ে গিয়ে সবকিছু গুবলেট করে দিলো। মাতাল অবস্থায় এটা-সেটা ভেঙে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হলো। গুজব ছড়িয়ে গেলো যে, তারা ডকের বাড়ি চুরি-ডাকাতি করে নষ্ট করেছে, সবাই তাদের ঘৃণা করা শুরু করলো। এতে তারা আরো হতাশ হয়ে গেলো। নিজেদেরকে অকালকুষ্মান্ড, অকর্মার ধাড়ি বলে মনে হতে লাগলো।

কিছু পরে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানুষের হতাশ অবস্থা কেটে গিয়ে উচ্ছলতা ফিরে আসলো। এসময় তারা ডকের সম্মানে আরেকটা পার্টি দেবার জন্য মন স্থির করলো, এবার তারা সফল হলো। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পার্টিতে অংশগ্রহণ করলো। ডক খুব খুশি হলো, ওই অঞ্চলের সবাই খুশি হলো - এতো হতাশাজনক পরিস্থিতি আর দু:খ-দারিদ্রের মধ্যেও তারা তাদের প্রিয় মানুষের সাথে একটা চমৎকার সময় কাটাতে পেরেছে।

গল্পটা সুন্দর ছবির মতো, সবকিছু খুবই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু অতিরঞ্জিতভাবে নয়। মুদি দোকানদার লি আর তার দোকান, ডক আর তার বিভিন্নরকম জীবজন্তু যেমন ব্যাঙ আর তারামাছ, ম্যাক আর তার ভবঘুরে সাঙ্গপাঙ্গ, ডোরা ফ্লাড আর তার পতিতালয় - সবকিছু যেন সেই ছবিটার ঠিক জায়গায় ঠিকমতো বসানো। গল্পের বিভিন্ন জায়গায় মজার মজার কথা আছে, যা এইসব গরীব-দু:খী মানুষদের 'হতাশ' জীবনযাপন দেখতে দেখতে 'হতাশ' হয়ে যাওয়া থেকে পাঠককে রক্ষা করবে (উদ্ধৃতি অংশ দেখেন)। ব্যাঙ ধরার আয়োজন, পার্টি দেবার চেষ্টা, পার্টি মাখিয়ে ফেলার মুহূর্ত, লি চং-য়ের দোকান - সবকিছুর মধ্যেই হাস্যরস আছে (কিন্তু বাহুল্য নাই), যার সাথে সাথে তাদের জীবনে আসলেই কি ঘটছে, তা-ও আমরা দেখতে পাই।

মানুষ তার দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। মানুষকে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হয় - মেঘ কেটে গিয়ে একসময় সূর্য উঠবেই, অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসবেই। গৃহহীন মানুষেরা যখন একটা ঘরের আশ্রয় পেয়ে সেই শ্রীহীন ঘরটাকেই ভাঙাচোরা জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে তুলতে চায়, ভাঙা টবে ফুল ফুটিয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়, তখন সেই দরদমাখা ভালোবাসাই হয়ে যায় তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন।

পার্টি উপলক্ষ্যে সবার অধীর আগ্রহ, সবার উৎসাহ-উদ্দীপনা - এই প্রাত্যহিক একঘেঁয়ে জীবন-যাপন থেকে একটু অন্যরকম, একটু ছুটি, হতাশাগ্রস্ত মানুষদের পক্ষ থেকে ভালোবাসা, পার্টির জন্য চুরি করতে গিয়ে জেলে যাওয়া, পার্টির জন্য ডোরা ফ্লাডের কর্মী মেয়েদের সাজগোজ, তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ - তারা এই সমাজেরই অংশ, এই পরিবারেরই অংশ - এমনটাই যেন হওয়া উচিৎ।

চমৎকার আলো-আঁধারির সুষমামাখা গল্প। খানিকটা যেন এবরোজিনদের ডট আর্টের মতো (অস্ট্রেলিয়ায় এবরোজিনদের একটা বিশেষ ধরণের চিত্রকর্ম আছে - তারা ছবি আঁকে বিভিন্ন রংয়ের বিন্দু দিয়ে - যা সম্মিলিতভাবে একটা চমৎকার ছবিতে পরিণত হয়, 'Aboriginal dot art' লিখে গুগল করেন।)।

জন স্টেইনবেক ১৯৬২ সালে সাহিত্যে নোবেল পান তার এই বাস্তবধর্মী আর কাল্পনিক চিন্তাধারার সংমিশ্রণের দক্ষতার জন্য, সেই সাথে সমাজের বিভিন্নরকম মানুষের বিভিন্নরকম জীবনধারা,
তাদের সাথে সমব্যাথী হয়ে সহানুভূতিশীল হাস্যরসের ছোঁয়ায় তাদের কথা ফুটিয়ে তোলার জন্য।

আমি ড. অভিজিৎ দত্তের বাংলা অনুবাদ পড়েছি। সুন্দর অনুবাদ।

গল্পটি আর তার সিক্যুয়েল অবলম্বনে ১৯৮২ সালে একটা মুভি বানানো হয় যাতে অভিনয় করেছেন নিক নোল্ট, আর ডেবরা উইংগার।

উদ্ধৃতি:

"রাস্তার পাইপে অথবা সাইপ্রাস বনের তুলনায় লি-এর ভাড়াটেরা যথেষ্ট আরামপ্রদ হিসেবে পছন্দ করেছিল জায়গাটাকে, তার প্রমান হিসাবে প্রথমে একটা চেয়ার এলো। তারপর আরো একটা। কয়েকটা টুলও এসে পড়লো। একজন তো একটা চারপাইও জোগাড় করে আনলো। অতঃপর এলো একটা খাবার টেবিল। সেটা আবার স্থানীয় রঙের দোকানদারের দাক্ষিণ্যে রঙিন হয়ে এসেছিলো।"

"পরদিনই ম্যাক কোথা থেকে একটা সোফা কম বেড ঘাড়ে করে এনে হাজির হলো, যার গদী প্রায় নিঃশেষিত, স্প্রিংয়ের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। এরপরই ওদের মধ্যে বাড়িটার শ্রী ফেরানোর - খোলতাই করার অলিখিত, তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হলো। একটা চেয়ার (আসনটা অর্ধেক ভাঙা), পুরোনো কার্পেট (অবশ্যই যথেষ্ট ছেঁড়া), একটা দেওয়াল ঘড়ি (কাঁটাবিহীন, সময় বলতে অক্ষম), একটা খাবার টেবিল - মাসখানেকের মধ্যে বাড়িটা অতি সজ্জিত অথবা সজ্জা-জর্জরিত হয়ে উঠলো। দেওয়ালগুলো চুনকাম করা হলো, তাতে সেটা আরো ঘোলাটে, অস্বচ্ছ হয়ে প্রায় অপার্থিব ছোঁয়া লাগা মনে হতে লাগলো। এবং সেই দেওয়ালে ছবি টাঙানোর কাজও শেষ হলো - স্বল্পবাস স্বর্ণকেশী সুন্দরীরা, যাদের হাতে কোকাকোলা অথবা বিয়ারের কৌটা। হেনরী আসার পর মৌলিক শিল্পকর্মের অভাবটা মিতা গেলো। দেওয়ালে জায়গা পেলো তার পাখির পালক দিয়ে আঁকা দুইটা শিল্পনমুনা।"

"হেজেলের পরবর্তী জীবন যেমন এলোমেলো ছিল, তার জন্মকালীন নামটাও তেমন বিশৃঙ্খলার মধ্যেই রাখা হয়েছিল। হেজেলের মা আট বছরে ক্রমাগত সাতটি সন্তানের জন্ম দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। হেজেল ছিল তার অষ্টম সন্তান। তার নাম দিতে গিয়ে তিনি তার লিঙ্গ সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তার সাতটি বাচ্চা আর তাদের অকর্মণ্য বাবাকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে করতে সর্বদাই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত থাকতেন। হয়তো এই ক্লান্তিটাই তাকে বিভ্রান্ত করে ফেলেছিলো। সারাটা দিন নানাভাবে পয়সা রোজগারের চেষ্টায়, কখনো কাগজের ফুল বানিয়ে বিক্রি করে, কখনো মাশরুম, কখনো বা খরগোশের মাংস আর চামড়া - এমনি যা-ই বিক্রিযোগ্য, তা বিক্রিবাটার চেষ্টা করতেন। তার অকর্মণ্য জামাই একটা ক্যানভাসের চেয়ারে বসে নানানভাবে তাকে উপদেশ আর সমালোচনা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করতো। হেজেল নামে তার এক চাচী ছিল। এই চাচীর নামেই তার অষ্টম সন্তানের নাম রাখেন হেজেল  - সে যে একটা ছেলে বাচ্চা, সেটা বোঝার আগেই। আস্তে আস্তে তারা সবাই এই নামেই অভ্যস্ত হয়ে গেলো, নাম আর পাল্টানোর দরকার মনে করলো না কেউ।"

"ভোরটা যেন এক সময়-ম্যাজিক ক্যানারি রো-তে। ধূসরতা ছড়ানো প্রাক ভোরে, আলো যখন সবে ফুটতে শুরু করেছে, শহরটা যেন এক অলৌকিকতায় ঝুলে অথবা ডুবে থাকে, নরম রূপালি আলো আর রঙে মাখামাখি হয়ে। ইস্পাতের দীর্ঘ চুল্লির শীর্ষগুলো ঝকঝক করতে থাকে। পরিবেশ জুড়ে নির্জন-নিস্তব্ধতা। রাস্তাগুলো জনমানবশূন্য, যেন আগামী মুখর ব্যস্ততার প্রস্তুতি হিসেবেই। এমনকি সমুদ্রের ঢেউগুলো ক্যানারির দেয়ালে আছড়ে পরে - সমস্ত শব্দই শুনতে পাওয়া যায়, স্পষ্ট - অতি স্পষ্ট। তখন চরাচর জুড়ে, সময় জুড়ে ছড়িয়ে থাকে শান্তি। ক্যানারির দৈনন্দিন ব্যস্ততা আর কোলাহল সরিয়ে দিয়ে সময় তখন যেন একটু বিশ্রাম নেয়। সেই শান্তিপূর্ণ সময়ে বেড়ালগুলো নিঃশব্দে দেয়াল টপকে, মাঠগুলোয়, সমুদ্রপাড়ে মাছের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে বেড়ায়। কুকুরগুলো রাজকীয় ভঙ্গিতে খুঁজে বেড়ায় কোথায় কোথায় পেশাব করতে হবে। সীগালগুলো নিঃশব্দে উড়ে এসে  ক্যানারির  ছাদে এসে ব'সে ডানা ঝাপটাতে থাকে। মেরিন স্টেশনের কাছে পাথরগুলো থেকে হাউন্ডের ডাকের মতো সী-লায়নের ডাক ভেসে আসে।"

===========================================
In Monterey, California there is a waterfront street named Cannery Row where there were many factories that used to make sardine cans. Hence is the name 'Cannery Row' (The canneries are not operational anymore, the road and the dead canneries are still there, see Google Maps).

Set back in the 'Great Depression' era (1929-1939), when the world was suffering great economic disaster, this novel picks the life, emotions and day-to-day activities of the people in that region on that time. There are three main characters - Lee Chong, Doc and Mack - along with many other different characters. Lee Chong is a local grocer, Doc is a marine biologist, Mack who is the leader of the vagabonds who have nothing to do, who are barely trying to live their depressed life by earning or borrowing whatever little bucs they find here and there, this way or that way.

The vagabonds live in the cypress forest or in tunnels used for roadworks. By chance their leader Mack could rent a house from Lee Chong. It is worth mentioning that, that they won't be able to pay the rent was known to both Lee Chong as well as Mack. Anyway, the vagabonds moved in the house. They were overwhelmed by this chance of luck. Made the house their very own out of love and affection, started to make it homely by bringing in different broken and out-of-order furniture.

They loved the Doc very much as a sedentary and gentle human being who helped them time to time. They wanted to throw a surprise party in his honour. But the party goofed up as they became drunk. They broke a lot of things out of drunkenness. Rumours spreaded that they tried to ransack the Doc's house and equipment and everybody started to hate and blame them. They became more depressed, they felt like good-for-nothing or like total rubbish.

After some time the situation started changing. The depression era started to ease; smile and happiness started to show up again. They tried to arrange another party and became successful this time. Everybody joined the party spontaneously, the Doc was overwhelmed and the inhabitants of that region were delighted to have a good time with their loving Doc even amidst their poor and depressing situation.

The story is picturesque where everything is depicted in great details, but without exaggeration. The grocer Lee and his shop, the Doc and his different types of animals like frog, starfish, Mack and his fellow vagabonds, the brothel led by Dora Flood - everything seems to be just attached rightly to the right spot of that picture. There is humouros touch in places that erases the 'depression' that one might feel going through the 'depressed' life of the poor and downtrodden (see some of the quotes). Capturing frogs, throwing a party, goofing up the party, Lee Chong's grocery - everything has its own humourous touch (but not exaggerated) while we feel the actual real-life events happening there.

We need to find piece and happiness even amidst our pain and grievances. Man needs to live on hope - every cloud has a silver lining, gloom and darkness should go away and happiness should smile in. When the homeless people found a shelter, they started to beautify that humble and petty home with broken furniture, they tried to implant flowers in broken flower-pots to smell the flower, to see its beauty - these heart-felt love was their hope for life.

Everyone's enthusiasm for the party - a little difference from the monotonous day-to-day life, a little relief, a little break, love and affection from depressed poor people, going to jail because of stealing things for the party, the grooming of the ladies of Dora Flood's brothel, their enthusiastic participation - they are part of the society, they are part of the family - as if it should be like that.

It feels like a beautiful craft made of light and darkness, a craft somewhat like an Aboriginal dot art (In Australia, the Aborigines do a special drawing with dots where a lot of dots of different colours develop an art painting. Google for 'Aboriginal dot art' for more details.).

John Steinbeck was awarded Nobel in 1962 in literature for depicting realistic and imaginative themes together with deep social perceptions that are put forth with sympathetic humours to those social characters and lives.

I read the Bangla translation from Dr. Ovijit Dutt. Nice one.

There is a 1982 movie based on the novel and its sequel starring Nick Nolte and Debra Winger.

Book cover from: https://www.behance.net/gallery/8372477/John-Steinbeck-Covers

Quotes:

"In the pipes and under the cypress-tree there had been no room for furniture and the little niceties which are not only the diagnoses but the boundaries of our civilization. Once in the Palace Flop-house, the boys set about furnishing it. A chair appeared and a cot and another chair. A hardware store supplied a can of red paint not reluctantly because it never knew about it, and as a new table or footstool appeared it was painted, which not only made it very pretty but also disguised it to a certain extent in case a former owner looked in."

"The next day Mack puffed up the hill carrying a rusty set of springs he had found on a scrap-iron dump. The apathy was broken then. The boys outnumbered one another in beautifying the Palace Flophouse until after a few months it was, as anything, over-furnished. There were old carpets on the floor, chairs with and without seats. Mack had a wicker chaise-lounge painted bright red. There were
tables, a grandfather clock without dial face or works. The walls were whitewashed, which made it almost light and airy. Pictures began to appear — mostly calendars showing improbable luscious blondes holding bottles of Coca-Cola. Henri had contributed two pieces from his chicken-feather period. A bundle of gilded cat-tails stood in one corner and a sheaf of peacock-feathers was nailed to the wall beside the grandfather clock."

"Hazel got his name in as haphazard a way as his life was ever afterward. His worried mother had had seven children in eight years. Hazel was the eighth, and his mother became confused about his sex when he was born. She was tired and run down anyway from trying to feed and clothe seven children and their father. She had tried every possible way of making money — paper flowers, mushrooms at home, rabbits for meat and fur — while her husband from a canvas chair gave her every help with his advice and reasoning and criticism he could offer. She had a great aunt named Hazel who was reputed to carry life insurance. The eighth child was named Hazel before the mother got it through her head that Hazel was a boy and by that time she was used to the name and never bothered to change it."

"Early morning is a time of magic in Cannery Row. In the grey time after the light has come and before the sun has risen, the Row seems to hang suspended out of time in a silvery light. The street lights go out, and the weeds are a brilliant green. The corrugated iron of the caimeries glows with the pearly lucence of platinum or old pewter. No auto-mobiles are running then. The street is silent of progress and business. And the rush and drag of the waves can be heard as they splash in among the piles of the canneries. It is a time of great peace, a deserted tune, a little era of rest. Cats drip over the fences and slither like syrup over the ground to look for fish-heads. Silent early morning dogs parade majestically picking and choosing judiciously where-on to pee. The sea-gulls come flapping in to sit on the cannery roofs to await the day of refuse. They sit on the roof peaks shoulder to shoulder. From the rocks near the Marine Station comes the barking of sea-lions like the baying of hounds."

No comments:

Post a Comment