Saturday, January 26, 2019

Book Review: The Cannery Row














Author: John Steinbeck (1902-1968)









Publication Year: 1945
Category/tags: Novel, Great Depression era

Story:

ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরিতে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে আছে ক্যানারি রো নামে এক রাস্তা। একসময় এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্টরি ছিল যেখানে সার্ডিন মাছের ক্যান উৎপাদন করা হতো। সেখান থেকেই
গল্পের নাম 'ক্যানারি রো' (ক্যানারিগুলো এখন বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু সেই রাস্তা আর বন্ধ কারখানাগুলো এখনো সেখানে আছে, গুগলম্যাপে দেখেন)।

'গ্রেট ডিপ্রেশন' যুগে (১৯২৯-১৯৩৯) - যখন সারা পৃথিবী জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে - তারই পটভূমিকায় লেখা এই গল্পটি তখনকার মানুষের সুখ, দু:খ আর প্রতিদিনকার জীবনযাপনের ছবি
তুলে ধরেছে। গল্পটিতে আছে তিনটি প্রধান চরিত্র - লি চং, ডক, আর ম্যাক - সাথে আরো অনেক বিভিন্ন মানুষজন। লি চং এক স্থানীয় মুদি দোকানদার, ডক একজন মেরিন বায়োলজিস্ট, ম্যাক হচ্ছে ওই জায়গার ভবঘুরে মানুষদের নেতা, যারা কোনো কাজ পাচ্ছে না, নিতান্তই হতাশাগ্রস্ত জীবন কাটাচ্ছে, সামান্য যা কিছু উপার্জন ক'রে বা এর-ওর কাছে ধারদেনা করে, এদিক-সেদিক ক'রে যা পায় তাই দিয়ে কোনোমতে জীবনধারণের চেষ্টা করছে।

ভবঘুরে লোকগুলো সাইপ্রেস বনে অথবা রাস্তার কাজে ব্যবহৃত পাইপের মধ্যে দিন কাটায়। ঘটনাক্রমে লি চং-এর কাছ থেকে তাদের নেতা ম্যাক একটা বাড়ি ভাড়া নিতে পারে। বলাই বাহুল্য যে, এই বাড়ির ভাড়া যে তারা দিতে পারবে না, তা লি-ও যেমন জানতো, ম্যাক-ও তেমন জানতো। যাহোক ভবঘুরেরা তাদের বাক্সপেটরা গুছিয়ে বাসায় উঠে এলো। তারা এই সৌভাগ্যে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গেলো। বাসাটাকে তারা খুবই ভালোবেসে ফেললো, এটা-সেটা, ভাঙাচোরা জিনিসপত্র এনে বাসাটা পরম যত্নে সাজাতে শুরু করলো।

ডক-কে তারা সবাই খুব পছন্দ করতো। তিনি ছিলেন সাদাসিধা একজন মানুষ, একাকী জীবন-যাপন করতেন, মাঝে মাঝে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। তারা ডকের সম্মানে একটা সারপ্রাইজ পার্টি দিতে চাইলো। কিন্তু তারা মাতাল হয়ে গিয়ে সবকিছু গুবলেট করে দিলো। মাতাল অবস্থায় এটা-সেটা ভেঙে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হলো। গুজব ছড়িয়ে গেলো যে, তারা ডকের বাড়ি চুরি-ডাকাতি করে নষ্ট করেছে, সবাই তাদের ঘৃণা করা শুরু করলো। এতে তারা আরো হতাশ হয়ে গেলো। নিজেদেরকে অকালকুষ্মান্ড, অকর্মার ধাড়ি বলে মনে হতে লাগলো।

কিছু পরে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানুষের হতাশ অবস্থা কেটে গিয়ে উচ্ছলতা ফিরে আসলো। এসময় তারা ডকের সম্মানে আরেকটা পার্টি দেবার জন্য মন স্থির করলো, এবার তারা সফল হলো। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পার্টিতে অংশগ্রহণ করলো। ডক খুব খুশি হলো, ওই অঞ্চলের সবাই খুশি হলো - এতো হতাশাজনক পরিস্থিতি আর দু:খ-দারিদ্রের মধ্যেও তারা তাদের প্রিয় মানুষের সাথে একটা চমৎকার সময় কাটাতে পেরেছে।

গল্পটা সুন্দর ছবির মতো, সবকিছু খুবই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু অতিরঞ্জিতভাবে নয়। মুদি দোকানদার লি আর তার দোকান, ডক আর তার বিভিন্নরকম জীবজন্তু যেমন ব্যাঙ আর তারামাছ, ম্যাক আর তার ভবঘুরে সাঙ্গপাঙ্গ, ডোরা ফ্লাড আর তার পতিতালয় - সবকিছু যেন সেই ছবিটার ঠিক জায়গায় ঠিকমতো বসানো। গল্পের বিভিন্ন জায়গায় মজার মজার কথা আছে, যা এইসব গরীব-দু:খী মানুষদের 'হতাশ' জীবনযাপন দেখতে দেখতে 'হতাশ' হয়ে যাওয়া থেকে পাঠককে রক্ষা করবে (উদ্ধৃতি অংশ দেখেন)। ব্যাঙ ধরার আয়োজন, পার্টি দেবার চেষ্টা, পার্টি মাখিয়ে ফেলার মুহূর্ত, লি চং-য়ের দোকান - সবকিছুর মধ্যেই হাস্যরস আছে (কিন্তু বাহুল্য নাই), যার সাথে সাথে তাদের জীবনে আসলেই কি ঘটছে, তা-ও আমরা দেখতে পাই।

মানুষ তার দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। মানুষকে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হয় - মেঘ কেটে গিয়ে একসময় সূর্য উঠবেই, অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসবেই। গৃহহীন মানুষেরা যখন একটা ঘরের আশ্রয় পেয়ে সেই শ্রীহীন ঘরটাকেই ভাঙাচোরা জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে তুলতে চায়, ভাঙা টবে ফুল ফুটিয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়, তখন সেই দরদমাখা ভালোবাসাই হয়ে যায় তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন।

পার্টি উপলক্ষ্যে সবার অধীর আগ্রহ, সবার উৎসাহ-উদ্দীপনা - এই প্রাত্যহিক একঘেঁয়ে জীবন-যাপন থেকে একটু অন্যরকম, একটু ছুটি, হতাশাগ্রস্ত মানুষদের পক্ষ থেকে ভালোবাসা, পার্টির জন্য চুরি করতে গিয়ে জেলে যাওয়া, পার্টির জন্য ডোরা ফ্লাডের কর্মী মেয়েদের সাজগোজ, তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ - তারা এই সমাজেরই অংশ, এই পরিবারেরই অংশ - এমনটাই যেন হওয়া উচিৎ।

চমৎকার আলো-আঁধারির সুষমামাখা গল্প। খানিকটা যেন এবরোজিনদের ডট আর্টের মতো (অস্ট্রেলিয়ায় এবরোজিনদের একটা বিশেষ ধরণের চিত্রকর্ম আছে - তারা ছবি আঁকে বিভিন্ন রংয়ের বিন্দু দিয়ে - যা সম্মিলিতভাবে একটা চমৎকার ছবিতে পরিণত হয়, 'Aboriginal dot art' লিখে গুগল করেন।)।

জন স্টেইনবেক ১৯৬২ সালে সাহিত্যে নোবেল পান তার এই বাস্তবধর্মী আর কাল্পনিক চিন্তাধারার সংমিশ্রণের দক্ষতার জন্য, সেই সাথে সমাজের বিভিন্নরকম মানুষের বিভিন্নরকম জীবনধারা,
তাদের সাথে সমব্যাথী হয়ে সহানুভূতিশীল হাস্যরসের ছোঁয়ায় তাদের কথা ফুটিয়ে তোলার জন্য।

আমি ড. অভিজিৎ দত্তের বাংলা অনুবাদ পড়েছি। সুন্দর অনুবাদ।

গল্পটি আর তার সিক্যুয়েল অবলম্বনে ১৯৮২ সালে একটা মুভি বানানো হয় যাতে অভিনয় করেছেন নিক নোল্ট, আর ডেবরা উইংগার।

উদ্ধৃতি:

"রাস্তার পাইপে অথবা সাইপ্রাস বনের তুলনায় লি-এর ভাড়াটেরা যথেষ্ট আরামপ্রদ হিসেবে পছন্দ করেছিল জায়গাটাকে, তার প্রমান হিসাবে প্রথমে একটা চেয়ার এলো। তারপর আরো একটা। কয়েকটা টুলও এসে পড়লো। একজন তো একটা চারপাইও জোগাড় করে আনলো। অতঃপর এলো একটা খাবার টেবিল। সেটা আবার স্থানীয় রঙের দোকানদারের দাক্ষিণ্যে রঙিন হয়ে এসেছিলো।"

"পরদিনই ম্যাক কোথা থেকে একটা সোফা কম বেড ঘাড়ে করে এনে হাজির হলো, যার গদী প্রায় নিঃশেষিত, স্প্রিংয়ের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। এরপরই ওদের মধ্যে বাড়িটার শ্রী ফেরানোর - খোলতাই করার অলিখিত, তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হলো। একটা চেয়ার (আসনটা অর্ধেক ভাঙা), পুরোনো কার্পেট (অবশ্যই যথেষ্ট ছেঁড়া), একটা দেওয়াল ঘড়ি (কাঁটাবিহীন, সময় বলতে অক্ষম), একটা খাবার টেবিল - মাসখানেকের মধ্যে বাড়িটা অতি সজ্জিত অথবা সজ্জা-জর্জরিত হয়ে উঠলো। দেওয়ালগুলো চুনকাম করা হলো, তাতে সেটা আরো ঘোলাটে, অস্বচ্ছ হয়ে প্রায় অপার্থিব ছোঁয়া লাগা মনে হতে লাগলো। এবং সেই দেওয়ালে ছবি টাঙানোর কাজও শেষ হলো - স্বল্পবাস স্বর্ণকেশী সুন্দরীরা, যাদের হাতে কোকাকোলা অথবা বিয়ারের কৌটা। হেনরী আসার পর মৌলিক শিল্পকর্মের অভাবটা মিতা গেলো। দেওয়ালে জায়গা পেলো তার পাখির পালক দিয়ে আঁকা দুইটা শিল্পনমুনা।"

"হেজেলের পরবর্তী জীবন যেমন এলোমেলো ছিল, তার জন্মকালীন নামটাও তেমন বিশৃঙ্খলার মধ্যেই রাখা হয়েছিল। হেজেলের মা আট বছরে ক্রমাগত সাতটি সন্তানের জন্ম দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। হেজেল ছিল তার অষ্টম সন্তান। তার নাম দিতে গিয়ে তিনি তার লিঙ্গ সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তার সাতটি বাচ্চা আর তাদের অকর্মণ্য বাবাকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে করতে সর্বদাই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত থাকতেন। হয়তো এই ক্লান্তিটাই তাকে বিভ্রান্ত করে ফেলেছিলো। সারাটা দিন নানাভাবে পয়সা রোজগারের চেষ্টায়, কখনো কাগজের ফুল বানিয়ে বিক্রি করে, কখনো মাশরুম, কখনো বা খরগোশের মাংস আর চামড়া - এমনি যা-ই বিক্রিযোগ্য, তা বিক্রিবাটার চেষ্টা করতেন। তার অকর্মণ্য জামাই একটা ক্যানভাসের চেয়ারে বসে নানানভাবে তাকে উপদেশ আর সমালোচনা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করতো। হেজেল নামে তার এক চাচী ছিল। এই চাচীর নামেই তার অষ্টম সন্তানের নাম রাখেন হেজেল  - সে যে একটা ছেলে বাচ্চা, সেটা বোঝার আগেই। আস্তে আস্তে তারা সবাই এই নামেই অভ্যস্ত হয়ে গেলো, নাম আর পাল্টানোর দরকার মনে করলো না কেউ।"

"ভোরটা যেন এক সময়-ম্যাজিক ক্যানারি রো-তে। ধূসরতা ছড়ানো প্রাক ভোরে, আলো যখন সবে ফুটতে শুরু করেছে, শহরটা যেন এক অলৌকিকতায় ঝুলে অথবা ডুবে থাকে, নরম রূপালি আলো আর রঙে মাখামাখি হয়ে। ইস্পাতের দীর্ঘ চুল্লির শীর্ষগুলো ঝকঝক করতে থাকে। পরিবেশ জুড়ে নির্জন-নিস্তব্ধতা। রাস্তাগুলো জনমানবশূন্য, যেন আগামী মুখর ব্যস্ততার প্রস্তুতি হিসেবেই। এমনকি সমুদ্রের ঢেউগুলো ক্যানারির দেয়ালে আছড়ে পরে - সমস্ত শব্দই শুনতে পাওয়া যায়, স্পষ্ট - অতি স্পষ্ট। তখন চরাচর জুড়ে, সময় জুড়ে ছড়িয়ে থাকে শান্তি। ক্যানারির দৈনন্দিন ব্যস্ততা আর কোলাহল সরিয়ে দিয়ে সময় তখন যেন একটু বিশ্রাম নেয়। সেই শান্তিপূর্ণ সময়ে বেড়ালগুলো নিঃশব্দে দেয়াল টপকে, মাঠগুলোয়, সমুদ্রপাড়ে মাছের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে বেড়ায়। কুকুরগুলো রাজকীয় ভঙ্গিতে খুঁজে বেড়ায় কোথায় কোথায় পেশাব করতে হবে। সীগালগুলো নিঃশব্দে উড়ে এসে  ক্যানারির  ছাদে এসে ব'সে ডানা ঝাপটাতে থাকে। মেরিন স্টেশনের কাছে পাথরগুলো থেকে হাউন্ডের ডাকের মতো সী-লায়নের ডাক ভেসে আসে।"

===========================================
In Monterey, California there is a waterfront street named Cannery Row where there were many factories that used to make sardine cans. Hence is the name 'Cannery Row' (The canneries are not operational anymore, the road and the dead canneries are still there, see Google Maps).

Set back in the 'Great Depression' era (1929-1939), when the world was suffering great economic disaster, this novel picks the life, emotions and day-to-day activities of the people in that region on that time. There are three main characters - Lee Chong, Doc and Mack - along with many other different characters. Lee Chong is a local grocer, Doc is a marine biologist, Mack who is the leader of the vagabonds who have nothing to do, who are barely trying to live their depressed life by earning or borrowing whatever little bucs they find here and there, this way or that way.

The vagabonds live in the cypress forest or in tunnels used for roadworks. By chance their leader Mack could rent a house from Lee Chong. It is worth mentioning that, that they won't be able to pay the rent was known to both Lee Chong as well as Mack. Anyway, the vagabonds moved in the house. They were overwhelmed by this chance of luck. Made the house their very own out of love and affection, started to make it homely by bringing in different broken and out-of-order furniture.

They loved the Doc very much as a sedentary and gentle human being who helped them time to time. They wanted to throw a surprise party in his honour. But the party goofed up as they became drunk. They broke a lot of things out of drunkenness. Rumours spreaded that they tried to ransack the Doc's house and equipment and everybody started to hate and blame them. They became more depressed, they felt like good-for-nothing or like total rubbish.

After some time the situation started changing. The depression era started to ease; smile and happiness started to show up again. They tried to arrange another party and became successful this time. Everybody joined the party spontaneously, the Doc was overwhelmed and the inhabitants of that region were delighted to have a good time with their loving Doc even amidst their poor and depressing situation.

The story is picturesque where everything is depicted in great details, but without exaggeration. The grocer Lee and his shop, the Doc and his different types of animals like frog, starfish, Mack and his fellow vagabonds, the brothel led by Dora Flood - everything seems to be just attached rightly to the right spot of that picture. There is humouros touch in places that erases the 'depression' that one might feel going through the 'depressed' life of the poor and downtrodden (see some of the quotes). Capturing frogs, throwing a party, goofing up the party, Lee Chong's grocery - everything has its own humourous touch (but not exaggerated) while we feel the actual real-life events happening there.

We need to find piece and happiness even amidst our pain and grievances. Man needs to live on hope - every cloud has a silver lining, gloom and darkness should go away and happiness should smile in. When the homeless people found a shelter, they started to beautify that humble and petty home with broken furniture, they tried to implant flowers in broken flower-pots to smell the flower, to see its beauty - these heart-felt love was their hope for life.

Everyone's enthusiasm for the party - a little difference from the monotonous day-to-day life, a little relief, a little break, love and affection from depressed poor people, going to jail because of stealing things for the party, the grooming of the ladies of Dora Flood's brothel, their enthusiastic participation - they are part of the society, they are part of the family - as if it should be like that.

It feels like a beautiful craft made of light and darkness, a craft somewhat like an Aboriginal dot art (In Australia, the Aborigines do a special drawing with dots where a lot of dots of different colours develop an art painting. Google for 'Aboriginal dot art' for more details.).

John Steinbeck was awarded Nobel in 1962 in literature for depicting realistic and imaginative themes together with deep social perceptions that are put forth with sympathetic humours to those social characters and lives.

I read the Bangla translation from Dr. Ovijit Dutt. Nice one.

There is a 1982 movie based on the novel and its sequel starring Nick Nolte and Debra Winger.

Book cover from: https://www.behance.net/gallery/8372477/John-Steinbeck-Covers

Quotes:

"In the pipes and under the cypress-tree there had been no room for furniture and the little niceties which are not only the diagnoses but the boundaries of our civilization. Once in the Palace Flop-house, the boys set about furnishing it. A chair appeared and a cot and another chair. A hardware store supplied a can of red paint not reluctantly because it never knew about it, and as a new table or footstool appeared it was painted, which not only made it very pretty but also disguised it to a certain extent in case a former owner looked in."

"The next day Mack puffed up the hill carrying a rusty set of springs he had found on a scrap-iron dump. The apathy was broken then. The boys outnumbered one another in beautifying the Palace Flophouse until after a few months it was, as anything, over-furnished. There were old carpets on the floor, chairs with and without seats. Mack had a wicker chaise-lounge painted bright red. There were
tables, a grandfather clock without dial face or works. The walls were whitewashed, which made it almost light and airy. Pictures began to appear — mostly calendars showing improbable luscious blondes holding bottles of Coca-Cola. Henri had contributed two pieces from his chicken-feather period. A bundle of gilded cat-tails stood in one corner and a sheaf of peacock-feathers was nailed to the wall beside the grandfather clock."

"Hazel got his name in as haphazard a way as his life was ever afterward. His worried mother had had seven children in eight years. Hazel was the eighth, and his mother became confused about his sex when he was born. She was tired and run down anyway from trying to feed and clothe seven children and their father. She had tried every possible way of making money — paper flowers, mushrooms at home, rabbits for meat and fur — while her husband from a canvas chair gave her every help with his advice and reasoning and criticism he could offer. She had a great aunt named Hazel who was reputed to carry life insurance. The eighth child was named Hazel before the mother got it through her head that Hazel was a boy and by that time she was used to the name and never bothered to change it."

"Early morning is a time of magic in Cannery Row. In the grey time after the light has come and before the sun has risen, the Row seems to hang suspended out of time in a silvery light. The street lights go out, and the weeds are a brilliant green. The corrugated iron of the caimeries glows with the pearly lucence of platinum or old pewter. No auto-mobiles are running then. The street is silent of progress and business. And the rush and drag of the waves can be heard as they splash in among the piles of the canneries. It is a time of great peace, a deserted tune, a little era of rest. Cats drip over the fences and slither like syrup over the ground to look for fish-heads. Silent early morning dogs parade majestically picking and choosing judiciously where-on to pee. The sea-gulls come flapping in to sit on the cannery roofs to await the day of refuse. They sit on the roof peaks shoulder to shoulder. From the rocks near the Marine Station comes the barking of sea-lions like the baying of hounds."

Saturday, January 12, 2019

Book Review - Choturongo (Maybe translated as: Four Parts)


Author: Rabindranath Tagore (1861-1941)

Publication year: 1916
Category/tags: Theism, atheism, human emotions, philosophy, Platonic love, spirituality, mysticism
Language: Bangla

Story:
গল্পটি বলছে শ্রীবিলাস নাম এক তরুণ, গল্পে আছে আরো তিনটি চরিত্র। তাই একসাথে তারা হলো চার। গল্পের নামের এটাই অর্থ - চতুরঙ্গ - চতুঃ + অঙ্গ = চতুরঙ্গ বা চারটি অঙ্গ।

গল্পটি শুরু হয় জগমোহন আর শচীশকে নিয়ে। জগমোহন এক মুক্তচিন্তার মানুষ। তিনি শচীশের চাচা। অন্যদিকে তার ভাই হরিমোহন এক গোঁড়া হিন্দু কুলীন ব্যক্তি। হরিমোহনের দুই ছেলে - একজন পুরন্দর যে কিনা বাবার অত্যধিক আদর-আহলাদে ননীর পুতুলের মতো বড় হয়েছে, আরেকজন শচীশ, যে কিনা চাচার উদার মুক্তচিন্তার ছায়াতলে উদারমনস্কভাবে বড় হয়েছে।

বাড়িতে একদল মুসলমান দাওয়াত করে খাওয়ানোর পরে দুই ভাইয়ের রেষারেষি চূড়ান্তে পৌঁছায়; বাড়ির মধ্যে দুই ভাইয়ের থাকার জায়গা পাঁচিল দিয়ে আলাদা করে ফেলা হয়। রেষারেষি আগেও ছিল, কারণ পৃথিবীতে গোঁড়ামি আর উদারপন্থা কখনোই শান্তিতে একসাথে থাকতে পারে না, পারার কথাও না। যাহোক, শচীশ তার চাচার সাথেই থেকে গেলো। কিন্তু তার বাবার সামাজিক কুচক্রান্তে (যেমন, তার বাবা বলে বেড়ালো যে, জগমোহন শচীশকে কাছে রেখেছে যেন খাওয়া-পরা চালিয়ে নিতে পারে) শচীশ তার চাচাকে ছাড়তে বাধ্য হলো। কিন্তু সে তার বাবার জায়গায় ফিরে গেলো না, জায়গা নিলো একটা মেসে।

একদিন শচীশ তার চাচার বাসায় নিয়ে এলো ননী নামে এক কমবয়সী এতিম, বিধবা মেয়েকে যাকে পুরন্দর শারীরিকভাবে ভোগ করেছে, কিন্তু তার দায়-দায়িত্ব না নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। জগমোহন তাকে 'মা' বলে ডেকে তাকে বুকে তুলে নিলো, বাসায় আশ্রয় দিলো। এখন হরিমোহন আর আশেপাশের লোকজন নতুন করে কুৎসা রটাতে লাগলো যে জগমোহন এক পতিতাকে আশ্রয় দিয়েছে।

ননীকে তাড়াবার জন্য পুরন্দর আর তার বাবার একের পর এক চেষ্টার পর শচীশ সিদ্ধান্ত নিলো ননীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করার। পুত্রের সিদ্ধান্তে তার বাবা যারপরনাই বিরক্ত হলেন। কিন্তু তীব্র মানসিক টানাপোড়েনে ননী এটা শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলো না - এই কুৎসিত সমাজে জগমোহন তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, তার হাতের খাবার ছাড়া জগমোহন খেতে চাইতো না, তার মতো 'পাপিষ্ঠা'কে জগমোহন মায়ের মর্যাদা দিয়ে ধরে রেখেছিলো, তার মতো 'পাপিষ্ঠা'কে বিয়ে করে শচীশ সমাজের অনাগত রক্তচক্ষু থেকে তাকে বাঁচাতে চাইছে - এই সবকিছু তাকে তীব্র আবেগের তাড়নায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলো।

একসময় কলকাতায় প্লেগের মহামারী শুরু হলো। শচীশ আর জগমোহন রোগীদের সেবা করা আর মৃতদের কবর দেবার জন্য রয়ে গেলো। একসময় জগমোহন নিজেও প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। তার মৃত্যুর পর শচীশকে আর ধরে রাখা গেলো না। সে সব পার্থিব কাজকর্মের প্রতি উদাস হয়ে মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। একসময় স্থানীয় আধ্যাত্মিক কীর্তন গায়কদলের সাথে যোগ দিয়ে তাদের মতোই ভবঘুরে হয়ে গেলো।

এই ব্যাপারটা কিন্তু জগমোহনের শিক্ষার বিরোধী - সে এসব আধ্যাত্মবাদের ধার ধারতো না, পৃথিবীর মাঝে লোকের সেবাযত্ন করাটাই তার কাছে বেঁচে থাকার অর্থ। কিন্তু শচীশ পারলো না; চাচার মৃত্যুর পর সে মানসিকভাবে এতোই অস্থির হয়ে গেলো যে, সে এই উদাসপথেই যোগ দিলো, এখানেই সে শান্তি পেলো। ঈশ্বর, প্রকৃতি, অনন্ত যাই বলি - এই আধ্যাত্মবাদকেই সে ভালোবাসলো।

তার সাথে সাথে গল্পের কথক শ্রীবিলাসও সেই আশ্রমে যোগ দিলো। সেখানে তাদের পরিচয় হলো অল্পবয়সী বিধবা দামিনীর সাথে। দামিনী ছিল বিদ্রোহী মনের - এইসব 'বাস্তবতাবিরোধী' আর 'অপার্থিব' আধ্যাত্মবাদে নিজেকে নিবেদন করে পৃথিবীর ভাব-ভালোবাসা ভুলে যাবার বিরোধী সে। শচীশকে সে ভালোবাসে। কিন্তু শচীশের কোনো হুঁশ নাই, সে এসব পার্থিব ভাব-ভালোবাসার উর্দ্ধে চলে গেছে। দামিনী গল্পকথক শ্রীবিলাসের সাথে খুব বেশি বেশি বন্ধুর মতো মিশে শচীশকে ঈর্ষাপরায়ণ করে তুললো। এতে শচীশের মনে তীব্রভাবে নাড়া লাগলো, অনন্তের প্রতি তার নিবেদন আর পার্থিব ভালোবাসার মধ্যে এক তীব্র টানাটানির মধ্যে ছিঁড়ে-খুঁড়ে যেতে লাগলো।

শেষমেশ শচীশ আধ্যাত্মবাদেই থেকে গেলো। অপার্থিবকে ত্যাগ করে পার্থিব বন্ধনের কাছে, দামিনীর কাছে সে ফিরতে পারলো না।

অবশেষে গল্পের কথক শ্রীবিলাস তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা চমৎকার ভালোবাসাময় জীবন কাটায়। পুরো সময়টা অধরা ভালোবাসার মাঝে হুটোপুটি খেয়ে দামিনী শেষ পর্যন্ত অনুভব করে যে, আরো একজন আছে যে তাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসে। এটা একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি যেখানে দুজন দুজনকে ভালোবাসে, কিন্তু তাদের ভালোবাসায় আরো একজন আছে যে পার্থিব ভালোবাসার উর্দ্ধে উঠে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ায়, তার খাওয়া-পরার যেন কষ্ট না হয়, সেদিকেও তারা খেয়াল রাখে।

গল্পটা খুব সুন্দর। এখানে অনেক কিছু বলা হয়েছে। এখানে আছে প্লেটোনিক ভালোবাসা, অনুরাগ। নিষ্ঠুর সামাজিক আচার-বিধির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আছে, বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি সমাজের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে। জাতিগত ভেদাভেদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে (বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে রেষারেষি, যেখানে সেই সময়ে মুসলিমরা ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু সুবিধাবঞ্চিত ছিল)। গল্পের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট মজাদার লাইন আছে যা গল্পটিকে আরো সুপাঠ্য করেছে। অনেক অনেক চমৎকার রূপক উদাহরণ আছে, যা পাঠককে ভাবতে শেখাবে। আমি সাহিত্য-সমালোচক নই, শুধুমাত্র সারাংশ লেখার চেষ্টা করেছি। এতো চমৎকার গল্পের সারাংশ লেখাটা আসলে বাতুলতা (যেকোনো গল্পের সারাংশ আসলে কখনোই সম্পূর্ণতা পায় না; এখানে ভালো কিছু থাকলে সেটা হচ্ছে গল্পটার সাথে পরিচিত হওয়া)। শুধুমাত্র এই সুন্দর গল্পটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই এই অপচেষ্টা। ভাব-ভালোবাসার গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক চমৎকার সৃষ্টি এই গল্পটি।

বাংলা পিডিএফ এখানে পাওয়া যাবে: https//bdebooks.com/books/chaturanga-by-rabindranath-tagore

ইংরেজি ট্রান্সলেশন আছে Amazon-এ:
https://www.amazon.com/Quartet-CHATURANGA-Rabindranath-Tagore/dp/043595086X

এখানে আরো বিস্তারিত পাবেন গল্পটি অবলম্বনে যে মুভিটি বানানো হয়েছে তার সারাংশ: http://rupkatha.com/V2/n4/24TagoreChaturangaFilm.pdf

এখানে আরেকটি বিশ্লেষণ:
https://core.ac.uk/download/pdf/2785169.pdf

উদ্ধৃতি:
........
শাস্ত্রে স্ত্রীপশু-বলি নিষেধ, কিন্তু মানুষের বেলায় ঐটেতেই সবচেয়ে উল্লাস।

........
প্রকৃতির স্রোতের ভিতর দিয়াই আমাদিগকে জীবনতরী বাহিয়া চলিতে হইবে। আমাদের সমস্যা এ নয় যে, স্রোতটাকে কি করিয়া বাদ দিব; সমস্যা এই যে, তরী কি হইলে ডুবিবে না, চলিবে। সেইজন্যই হালের দরকার।

........
জীবনের পর্দার আড়ালে অদৃশ্য হাতে বেদনার যে জাল বোনা হইতে থাকে তার নকশা কোনো শাস্ত্রের নয়, ফরমাশের নয় - তাইতো ভিতরে বাহিরে বেমানান হইয়া এতো ঘা খাইতে হয়, এতো কান্না ফাটিয়া পড়ে।

........
সংসার মানুষকে পোদ্দারের মতো বাজাইয়া লয়, শোকের ঘা, ক্ষতির ঘা, মুক্তির লোভের ঘা দিয়া। যাদের সুর দুর্বল, পোদ্দার তাহাদিগকে টান মারিয়া ফেলিয়া দেয়; এই বৈরাগীগুলো সেই ফেলিয়া দেওয়া মেকি টাকা, জীবনের কারবারে অচল। অথচ এরা জাঁক করিয়া বেড়ায় যে, এরাই সংসার ত্যাগ করিয়াছে। যার কিছুমাত্র যোগ্যতা আছে সংসার হইতে তার কোনোমতে ফসকাইবার  জো নাই। শুকনো পাতা গাছ হইতে ঝরিয়া পড়ে, গাছ তাহাকে ঝরাইয়া ফেলে বলিয়াই - সে যে আবর্জনা।

........
নাস্তিকের পক্ষে লোকের ভালো করার মধ্যে নিছক নিজের লোকসান ছাড়া আর কিছুই নাই - তাহাতে না আছে পূণ্য, না আছে পুরস্কার, না আছে কোনো দেবতা বা শাস্ত্রের বকশিশের বিজ্ঞাপন বা চোখ-রাঙানি। যদি কেহ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিত, 'প্রচুরতম লোকের প্রভুততম সুখসাধনে' আপনার গরজটা কি? তিনি বলিতেন, কোন গরজ নাই, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় গরজ।

........
গল্পই লোকের বিশ্বাস কাড়িবার জন্য সাবধান হইয়া চলে, সত্যের সে দায় নাই বলিয়া সত্য অদ্ভুত হইতে ভয় করে না।

================================================================
The story is narrated by Sribilash, a juvenile who comes in contact with three other characters. Together they make four - that is the meaning of the story 'Choturongo' - Chotuh + Ongo = four parts.

The story starts with Jagomohon and Sachish. Jagomohon - who is an unorthodox person - is the uncle of Sachis. On the other hand Jagomohon's brother Horimohon is extremely religious. He had two sons - Purondor and Sachis. Purondor is spoiled through his father's extreme indulgence, whereas Sachis grows up under the shade of genourous secular views of his uncle.

After inviting a couple of Muslims to their house, the relation between brother breaks and a wall is raised in the house. It was never so cool as extreme and secular religious views never stayed in harmony in the world, and honestly they cannot. Anyway, Sachis stayed with his uncle. After his father's extreme social politics (like Jagomohon is using Sachis to get money for living) he had to leave the house, but refused to go back to his father's den and started staying in a mess.

One day, Sachis brought to his uncle's house an orphan, widowed young lady named Noni who was molested by Purondor, but he didn't take the responsibility and drove her away. Jagomohon called her a 'mother' and let her stay in the house. Now Horimohon and the surrounding people of the society started scandals against Jagomohon that he gave shelter to a prostitute.

After Purondor's and his father's several attempts to oust the lady, Sachis decided to marry her. Sachis's father was severely disturbed by his son's decision. Noni, however, couldn't make it through because of extreme mental turbulence of emotions - that Jagomohon gave her shelter over the filthy society, that he couldn't eat without her cooking, that he loved a 'sinful' lady like her as a mother, that Sachis is going to marry a 'sinful' lady like her to save from upcoming social attacks.

At a point there was plague epidemic in Calcutta. Sachis and Jagomohon stayed back curing the patients or burying the deads. Jagomohon caught plague at a point and died. Now Sachis became unstable and lost attraction in all mundane activities and joined a local spiritual kirtan chanters' group and became vagabond with them.

This was against the teachings of Jagomohon - he didn't like spiritual path but wanted to live and help people in however he can; this is what a meaningful life is like to him. But Sachis couldn't but indulge into it; he is so traumatised after his uncle's death that he found peace in spirituality. He fell in love with eternity, God, nature - whatever you call.

Along with him, the narrator Sribilash also joined the group. There they met the lady Damini who is young widow. Damini is a young revolt - doesn't want to succumb to this 'unrealistic' and 'un-mundanely' spirituality to forget the world, love and affection by submitting to eternity. She loves Sachis, but he is indifferent; he is already above these humanely emotions. However, Damini makes him envious by befriending the narrator Sribilash. Sachis is stirred and passes through extreme tug-of-war between his devotion to eternity and coming back to loving earth.

Sachish ultimately could not come back from his devotion to eternity. So he could not get back to Damini as a mundane human bonding.

The narrator Sribilash married her eventually. After the marriage they had a happy love life. Blinded by uncatchable love the whole time, Damini felt that she has somebody else to love which now she has. This is a very complex scenario where they had a happy life, however they both loved vagabond Sachish and took every care of him.

The story is very much enjoyable. It includes a bunch of different things. There is inclusion of platonic love and devotions. The story revolts against cruel social dogmas and traits, especially to women. It stands strong against racial discrimination (especially Hindu-Muslim relations where Muslims were less privileged in those decades and in those regions). The auther put forth an enjoyable reading with minor bits of humorous lines at several places. A lot of wonderful allegories are also out there that emphasizes thinking high. I am not a literature-critic, I just tried to summarise. Such a wonderful art cannot be summarised really. (Any attempt to summarise any story is perhaps always incomplete; the one good thing in there however, is the acquaintance). This is just a little endeavour to acquaint with this wonderful story. This is a wonderful piece of work from the master of love and emotion Rabindranath Tagore.

Bangla PDF available at: https//bdebooks.com/books/chaturanga-by-rabindranath-tagore

English translation is available at Amazon:
https://www.amazon.com/Quartet-CHATURANGA-Rabindranath-Tagore/dp/043595086X

Following link has a better and detailed discussion on the film that was based on the novel:
http://rupkatha.com/V2/n4/24TagoreChaturangaFilm.pdf

Another analysis here:
https://core.ac.uk/download/pdf/2785169.pdf

Quotes:

..........
In scripture it is prohibited to sacrifice animals of the female-kind; however in case of humans, that is the real delight that people feel. ['sacrifice' here is meant to be traumatizing or torturing]

..........
We have to row our 'life' boat through this lifely stream. How we can evade the stream and move on is not the problem. The problem is how to keep the boat afloat and moving. That's why we need rudder.

..........
The pattern of the pain and agony that is woven behind the curtain of our day-to-day life doesn't follow any scripture or decree. That's why the inharmonious inside and outside cause so much pain and agony.

..........
Life tests human beings like a money-changer by blowing him with grievance, loss or craving for freedom. Those who are weak, the money-changer throws them away; these anchorites are like those invalid coins - obsolete for life. But see, these are the people who boast as if they have left the mundane activities on their own. If somebody has the slightest ability, there is no way for him/her to leave this family/worldly activities. Dry leaves fall from tree because the tree sheds them away - these are rubbish.

..........
There is nothing but loss for an atheist to help other human beings - there is no virtue it it, no reward, neither any awarding advertisement nor any frowing from any scripture or god. If somebody would ask him, what is your urgency in making 'an abundance of people' to be 'bountifully happy'? He would say, that there is no real urgency - that is my devotion.

..........
Rumours need to be careful as they need to gain people's favour. Truth doesn't need that; that is why it is not afraid to be bold or weird.

[Image from: http://www.librariabucuresti.com/Carti-Chaturanga-5324.htm]

Friday, January 4, 2019

Book Review - A Connecticut Yankee in King Arthur's Court

Story: A Connecticut Yankee in King Arthur's Court
Author: Mark Twain (1835-1910)

Category: Satire, Adventure, Time Travel, Children's Literature
Publication Year: 1889



Summary:
আমেরিকার কানেকটিকাটে ছিল হ্যাংক নামে এক ইঞ্জিনিয়ার। একদিন এক সহকর্মীর সাথে ঝগড়ার সময় সহকর্মী তার মাথায় দিলো এক রদ্দা। সেই ঘা খেয়ে হ্যাংক গেল অজ্ঞান হয়ে। জ্ঞান ফিরলে সে দেখলো, আরে, কোথায় কানেকটিকাট? এ তো দেখি ষষ্ঠ শতাব্দী (৫০০-৬০০ খ্রিষ্টাব্দ), রাজা আর্থারের রাজত্ব! কোন এক জাদুবলে সে সময়ের মারপ্যাচে ষষ্ঠ শতাব্দীতে এসে পড়েছে।

উদ্ভট জামাকাপড়ের জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো। পরদিন তাকে পুড়িয়ে মারা হবে। ভাগ্যক্রমে পরের দিন ছিল সূর্যগ্রহণ। সে তা জানতো, আর সেই পুরনো কৌশল অবলম্বন করে (কলম্বাসের মতো), সূর্যকে গায়েব করে দেবার নাম করে নিজেকে প্রবল প্রতাপশালী এক জাদুকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলো। শুধু তাই না, সে প্রধানমন্ত্রীর পদ দাবি করলো। বাঁচার জন্য তাকে সবই দেয়া হলো, আর সে শুরু করলো ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তার গোপন কাজকর্ম।

এক পর্যায়ে সে আর রাজা আর্থার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দেখতে বেরুলো। ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে দাস-ব্যবসায়ীরা তাদেরকে দাস হিসেবে বন্দী করলো। সেখানে গ্যাঞ্জাম বাধানোর পরে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর ব্যবস্থা করা হলো, সময়মতো রাজার লোকজন এসে পড়ায় সে যাত্রা জানে বাঁচলো।

পুরো গল্পই এরকম আরো অনেক মজার মজার অভিযানে ভরা। অভিযানগুলো শুধু মজারই না, সেই সাথে এগুলো মধ্যযুগীয় সমস্যাগুলোও তুলে ধরেছে। যেমন, নিরীহ মানুষজন বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেল খাটে যেখানে রাজা-রাণীর কোনো হুঁশই নাই এ ব্যাপারে, আবার কোথাও মানুষজন রাজতন্ত্র হঠিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে - এরকম আরো নানান রকম মজার মজার ঘটনা। রাজতন্ত্রের হাস্যকর নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে মার্ক টোয়েন তার স্বভাবজাত ব্যঙ্গবিদ্রূপ দিয়ে লিখেছেন। আসলে লেখক রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনেক গল্পেই লিখেছেন, যেমন আরেকটি গল্পের উদাহরণ দেয়া যায় 'The Prince and The Pauper'।

চার্চ দেখলো, এ তো ভারী উৎপাত! হ্যাংক আর রাজা তো দেখি আমাদের প্রভাব বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করছে! তারা কৌশলে হ্যাংক আর তার পরিবারকে দূরে ভ্রমণে পাঠিয়ে দিলো। এদিকে রাজা আর্থার মারা পড়লো রাণীর প্রেমিকের হাতে। দেশের এই অবস্থায় চার্চ সমন জারি করলো হ্যাংকের বিরুদ্ধে। হ্যাংক এক গুহার মধ্যে তার পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে আস্তানা গাড়লো। তারা ইলেকট্রিক তারের বেড়া, কামান, গুলি এগুলো নিয়ে নাইটদের সাথে যুদ্ধ করলো। হ্যাংক আহত হয়ে শয্যাশায়ী হলো। এরপর জাদুকর মার্লিন তাকে জাদু দিয়ে ১৩০০ বছরের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দিলো।

গল্পে রাজতন্ত্র, অন্ধবিশ্বাস, দাসপ্রথা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, তৎকালীন চার্চের নিপীড়ন - এগুলোর বিরুদ্ধে বিদ্রূপ করা হয়েছে। ছদ্মবেশে দেশ পরিভ্রমণের সময় সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট, দাসপ্রথা - এগুলোর বিরুদ্ধে রাজার বোধোদয়, এবং এগুলো বন্ধ করার জন্য তার দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে লেখক তার মনের ইচ্ছাটাই প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের অর্থহীন সরলতা, যার জন্য তারা সুবিধাবাদীদের ধোঁকা খায়, সেই দিকটা তুলে ধরা হয়েছে। সর্বোপরি, মুক্তভাবে চিন্তা-ভাবনায় বাধা দেয়ার জন্য চার্চের সমালোচনা করা হয়েছে।

গল্পটি প্রথম দিককার টাইম ট্রাভেল গল্পগুলোর সূচনা করে। যেমন পরবর্তীতে এইচ জি ওয়েলস তার 'দ্য টাইম মেশিন' গল্পটি লেখেন সময় পরিভ্রমণের ওপর।

চমৎকার মজাদার গল্প। আমি পড়েছি সেবা প্রকাশনীর কাজী শাহনূর হোসেনের বাংলা অনুবাদ। সুন্দর অনুবাদ।

==============================================
The story is a first-person narrative, narrated by Hank who is an engineer of Connecticut. He faints after getting a blow from a colleague in the head. When he wakes up, he finds himself back in 6th century at King Arthur's reign. That is, somehow he got transported through time.

He was sentenced to death by burning at stakes for his different dress-up. Luckily, the next day was a solar eclipse. Using the solar eclipse trick (like Columbus), he proved himself as a powerful magician. He became 'The Boss' and was appointed as the prime minister. He started to develop different types of engineering activities like telegraph, electricity etc.

After restoring the fountain of a holy place, he and the king set out in disguise to see the condition of common people. They were caught up as slaves, and later were sent to gallows. However, in due time was saved by the royal guards.

The story narrates such many more interesting adventures throughout the book. Such adventures not only are full of fun, but also reveals medieval age problems. For example, innocent people being punished without proper judgement where the ruling king doesn't even bother to know about it, people fighting for democracy by ousting monarchy and many such things. Mark Twain stood against the funny aspects of monarchy through his usual elegant satires. Actually such satires against monarchy is also observable in his other story 'The Prince and The Pauper'.

The church, finding Hank and the king as a threat to the religion, tricks Hank to sail far away, while they ruled out 'interdict'; thus, common people took them as enemies. Hank built fortification around a cave and survived the attack by the knights. But he was wounded and was set to sleep for 1300 years by the evil magician Merlin.

The story mocks at monarchy (kingship), superstitions, medieval-age slaveries, gullibility and churches. While visiting the countryside in disguise, King Arthur felt the need to abolish slavery. People had been too gullible to believe in magical tricks. Churches were oppressive against opinions and free-thinking.

Interestingly, this book led to time travel themes that prominent writers later adopted in their novels. E.g., 'The Time Machine' by H. G. Wells.

Pleasant reading. I read the Bangla translation from by Kazi Shahnur Hossain published Seba Prokashoni. Pleasant translation.

Book Cover: https://www.abebooks.com/first-edition/Connecticut-Yankee-King-Arthurs-Court-Twain/8690113606/bd

Thursday, December 20, 2018

Book Review - A Long Way Gone

Book: A Long Way Gone
Author: Ismael Beah (1980-)










Author's nationality: Sierra Leonean
Book Language: English
Publication year: 2007
Category: Civil war, auto-biography, child-soldier, gore, rehabilitation


একটি কিশোর ছেলে হুইলব্যারোতে করে একটা মৃতদেহ কবর দেবার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। মৃতদেহ সাদা কাপড়ে ঢাকা, কিন্তু ছোপ ছোপ রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে কাপড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে। সে জানে না কেন এই বিশেষ একটা মৃতদেহ কবর দেবার জন্য সে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, যেখানে আশেপাশে অসংখ্য বীভৎস মৃতদেহ পঁচে গলে যাচ্ছে। সে কাপড়টা সরালো, দেখলো সারা শরীরে বুলেটের আঘাত। সে মুখের কাপড় সরালো, দেখলো এটা তারই মুখ।

নিউইয়র্ক সিটির এক কক্ষে দু:স্বপ্ন দেখে ধড়মড় করে উঠে বসলো ছেলেটি। সদ্য সিয়েরা লিয়নের গৃহযুদ্ধ থেকে সে ফিরে এসেছে যেখানে সে কিশোর-যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করে যাচ্ছিলো। সে আমাদেরকে তার সাথে নিয়ে গেলো এক যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে।

সিয়েরা লিওনের এক প্রত্যন্ত গ্রামের এক কিশোর ছেলে ১২ বছর বয়সী ইসমায়েল। সম্প্রতি সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে সরকারি সেনাদল আর আর.ইউ.এফ. এর মধ্যে (রেভোলুশনারি ইউনাইটেড ফ্রন্ট - সিয়েরা লিওনের এক বিদ্রোহী সংগঠন)। একদিন সে বন্ধুদের সাথে পাশের গ্রামে গেল যেখানে আচমকা বিদ্রোহীরা আক্রমণ করলো। প্রাণের ভয়ে সবাই যে যেদিক পারে দৌড়ে পালালো। তারাও একে অন্যের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো, নিজেদের জায়গায় ফিরতে পারলো না। শুরু হলো তাদের একাকী বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তারা বুঝলো বিদ্রোহীদের থেকে পালিয়ে বাঁচতে হবে, খাবারের সন্ধানে থাকতে হবে, বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে বাঁচতে হবে। এক সময় ইসমাইল অন্যদের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো আর এক জঙ্গলে হারিয়ে গেলো। সেখানে সে এক মাসের বেশি জংলী ফলমূল আর ঝর্ণার পানি খেয়ে বেঁচে থাকলো। ভেবে দেখেন, ১২ বছরের একটা ছেলে যে যুদ্ধের বিভীষিকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে, জঙ্গলে হারিয়ে গেছে, কিন্তু হাল ছাড়েনি বাঁচবার।

যদি বিদ্রোহীরা তাদের ধরে ফেলে, তারা গরম বেয়োনেট দিয়ে তাদের হাতে আর. ইউ. এফ.-এর উল্কি এঁকে দেবে, তারপর তাদের দিয়ে যুদ্ধ করাবে। আসলে এটা এক ধরণের বন্দীদশা কারণ এই উল্কির কারণে তারা বিদ্রোহী দল থেকে বের হতে পারবে না। যদি তারা পালিয়ে যায় আর সরকারি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে, তাহলে তারা এই উল্কিচিহ্ন দেখে বিনা বাক্যব্যয়ে তাদেরকে মেরে ফেলবে। যখন বিদ্রোহীরা ছোট ছেলেদের ধরে, তখন যাদেরকে তাদের অযোগ্য মনে হয়, তাদেরকে নতুন ছেলেদের সামনেই গুলি করে মারে যেন তাদের মন আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে যায় আর এসব রক্তপাত কোনো ব্যাপারই মনে না হয়। 

একসময় আবার সে সমবয়সী কিছু কিশোরের সন্ধান পায়। এখন দলবেঁধে একসাথে চলাফেরা তাদের জন্য নতুন এক সমস্যার সৃষ্টি করলো। একদিকে তারা প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে, আরেকদিকে গ্রামবাসীরা তাদের বিশ্বাস করে না। যখনই কোন গ্রাম খবর পায় যে একদল কিশোরবয়সী ছেলে একসাথে ঘোরাঘুরি করছে, তখনই তারা তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়, এমনকি মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। এরকমই এক ঘটনায় তাদেরকে গ্রামবাসী প্রায় মেরে ফেলছিলো, তারা তাদেরকে আটলান্টিকের সৈকতের ধার দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে যায়, যেখানে গরম বালিতে তাদের পায়ে দগদগে ফোস্কা পরে যায়।

মাসের পর মাস তারা জঙ্গল, গ্রাম, সমুদ্রের ধার দিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। তারা তাদের বাবা-মাকে খুঁজলো, আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজলো। এক সময় তাদেরকে সরকারি সেনাবাহিনী উদ্ধার করে নিয়ে এক গ্রামে নিয়ে আসে। কিছুদিন পর বিদ্রোহীরা সেই গ্রাম ঘেরাও করে ফেললো। সরকারি বাহিনীর লিউটেনান্ট কমান্ডার তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে বাধ্য হলো। এটা ছিল একটা কঠিন সিদ্ধান্ত, কারণ যদি তারা প্রতিরোধ না করে, তাহলে বিদ্রোহীরা সবাইকেই মেরে ফেলবে যেহেতু বিদ্রোহীরা ছিল সংখ্যায় বেশি। ভালোমতো ভেবে দেখলে কাজটা ঠিকই আছে, কারণ উদ্দেশ্যবিহীনভাবে কোনো কারণ ছাড়াই মরে যাবার চেয়ে যেকোনোভাবে বাঁচার চেষ্টা করাটাই বরং ভালো।

এই ঘটনার পরে শুরু হলো কিশোর-যোদ্ধা হিসেবে তাদের নতুন জীবন। তারা নেশা ড্রাগ নেয়া শুরু করলো যা তাদেরকে গড়ে তুললো পাষান-হৃদয় যোদ্ধা হিসেবে। তারা ব্যথা-বেদনা ভুলে গেলো, চোখে তাদের শুধুই খুন আর বিদ্রোহীদের প্রতি একরাশ ঘৃণা। যুদ্ধের এটাই মূলমন্ত্র - যুদ্ধ যারা করে, তাদেরকে হয়ে যেতে হয় নির্মম খুনে, নির্দয়, প্রতিপক্ষের প্রতি দয়ামায়াহীন, আর প্রতিটা দলই মনে করে তারাই একটা সত্যিকারের উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধ করছে, সেই উদ্দেশ্যটাই ঠিক, অন্যেরা ভুল।

এক সময় ইউনিসেফ তাদেরকে যোদ্ধা-দশা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে একটা পুনর্বাসন-কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে দুই পক্ষ থেকেই কিশোর-যোদ্ধাদের নিয়ে আসা হয়েছে - আর.ইউ.এফ. থেকেও কিছু ছেলে আছে, আবার সরকারি দলের হয়ে যারা যুদ্ধ করেছে, তারাও আছে। যেইমাত্র তারা সেটা টের পেলো, তারা সেখানে আবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করলো, সেন্ট্রিদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন-কেন্দ্রের মধ্যেই মারামারি শুরু করলো। সেসময় ছয়জন মারা গেলো। মনে হতে লাগলো যে, এরকম ভয়ংকর ছেলেদের কোনোভাবেই আর সুস্থ সমাজে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। কিন্তু ধীরে হলেও তারা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকলো। প্রথমে তারা ছিল হিংস্র। কেন্দ্রের কর্মচারীদের ধরে মারপিট করা, বা বই পুড়িয়ে দেয়া, বা বই চুরি করে কাছের বাজারে বিক্রি করা এগুলো ছিল তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক  ব্যাপার। এই মানসিক পরিবর্তনের পর্যায়ে শুরু হলো তাদের দুঃস্বপ্ন দেখা, বা হেলুসিনেশন। তারা দুঃস্বপ্ন দেখতো যেন কিছু সৈন্য তাদের বেঁধে ফেলেছে, আর গলা কেটে ফেলছে। দুঃস্বপ্নে জেগে উঠে তারা ফুটবল মাঠে দৌড়ে বেড়াতো। কখনো তারা কর্মচারীদের মনে করতো শত্রুপক্ষ, তাদেরকে বেঁধে ফেলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতো যে কোথা থেকে তারা অস্ত্রপাতি পায় ইত্যাদি।

খুবই ধীরে তারা এই হেলুসিনেশন আর দুঃস্বপ্নগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে থাকলো। এই পর্যায়ে ইউনিসেফ তাদেরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা শুরু করলো। তাদের নিকট আত্মীয়দের খুঁজে তাদেরকে পুনর্মিলনের চেষ্টা করলো। কারো কারো আত্মীয়-স্বজন খুঁজে পাওয়া গেলো। কিন্তু বেশিরভাগই তাদের ফেরত নিতে অস্বীকার করলো, তারা জানে যে এক সময় এরা খুনে যোদ্ধা ছিল। একই সাথে অনেকে তাদেরকে সাদরে, অনেক আবেগের সাথেই গ্রহণ করলো। ইসমাইল ছিল সৌভাগ্যবান, কারণ তার চাচা, যাকে সে কোনোদিন দেখেইনি, তিনি অনেক আদরের সাথে তাকে নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন সামান্য এক ছুতারমিস্ত্রি, খুব একটা সচ্ছল ছিলেন না, কিন্তু তার মনটা ছিল বড়। 

এক সময় তাকে ইউ.এন.-এর পক্ষ থেকে আমেরিকায় একটা সম্মেলনে পাঠানো হলো। সেখানে আফিকার বিভিন্ন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে এক গল্পকথকের সাথে তার পরিচয় হলো। এই গল্পকথক - তার নাম লরা - পরবর্তীতে এক সময় তাকে সন্তান হিসেবে দত্তক নেয়, তার অন্য আরো সন্তানদের সাথেই সে পরবর্তীতে একসাথে বেড়ে ওঠে। সম্মেলন শেষে তাদেরকে আবার তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় ফ্রিটাউনে (সিয়েরা লিয়নের রাজধানী) গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন দলের সৈন্যদল সরকারকে উৎখাত করে নিজেরাই একে অন্যের সাথে মারামারি শুরু করে। তারা সাধারণ মানুষজনকেও কারণে-অকারণে মেরে ফেলতে লাগলো। মানুষজনের জীবন অতিষ্ট করে দিলো।

ইসমায়েল লরার সাথে যোগাযোগ করলো, জানতে চাইলো সে তার ওখানে যেতে পারে কিনা। লরা রাজি হলো। তখন সে গিনি কোনাক্রির পথে যাত্রা শুরু করলো। সেই যাত্রার কাহিনীও ছিল মর্মস্পর্শী। সত্যি বলতে কি, পুরো বইটাই  খুবই মর্মস্পর্শী। আমার কাছে মনে হয়েছে যুদ্ধের ওপর লেখা এক অসামান্য গল্প। পাঠক এখানে যুদ্ধের বিভীষিকা দেখতে পাবেন এক কিশোরের চোখ দিয়ে - যে ছেলেটি সব হারিয়েছে, যাকে একা একা বনে-জঙ্গলে পালিয়ে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে, যে নিজেও এক সময় নির্দয় খুনে যোদ্ধায় পরিণত হয়েছে, যার শৈশব হারিয়ে গিয়েছে যুদ্ধের ডামাডোলে, সে জানে না পালিয়ে বাঁচতে বাঁচতে, যুদ্ধ করতে করতে, মানুষ খুন করতে করতে কখন কোথায় তার শৈশব হারিয়ে গেছে, সেই কিশোর, যে দেখেছে মানুষ মানুষকে কিভাবে পুড়িয়ে মারে, কিভাবে ধর্ষণ করে, কিভাবে গলা কাটে, কিভাবে কাটা মাথার চুলের মুঠি ধরে ঘুরে বেড়ায় যে নিজের চোখে দেখেছে মানুষের দু:খ-দুর্দশা। যেখানে শরণার্থীরা লক্করঝক্কর বসে করে প্রাণটা হাতে নিয়ে দেশ থেকে দেশে পালিয়ে বেড়ায়, যেখানে পুরোটা বাস কালো রঙে লেপে দেয়া হয় যাতে করে রাতের অন্ধকারে তা মানুষকে বহন করে নিয়ে যেতে পারে। লোকজন যেখানে জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে থাকে কখন বাস আসবে আর তারা পালতে পারবে। যেখানে লোকজনকে গোপন আস্তানা থেকে চড়া দামে দ্রব্যাদি কিনতে হয়, কারণ সাধারণ বাজারঘাট সৈন্যদের দখলে। তারা জানে না তারা সামনের একটা দিন বাঁচবে কিনা। তারা জানে না তারা ইমিগ্রেশন পার হতে পারবে কিনা। ইমিগ্রেশন অফিসারদের মনমতো টাকা না দিতে পারলে তারা নির্দয়ভাবে ধাক্কা দিয়ে আবার সেই যুদ্ধের মধ্যেই ফেরত পাঠাবে। এসবকিছুই খুব মর্মস্পর্শী।

এই ছিল ইসমায়ল বি-র গল্প যে ছিল সিয়েরা লিয়নের এক প্রাক্তন কিশোর-যোদ্ধা। এই সেই গল্প, যা জীবন থেকে নেয়া, সেই কিশোরদের গল্প যাদের শৈশব কেটে গেছে  যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে, যারা নিজেরাও এক সময় মগজ-ধোলাই হয়ে নির্মম, নির্দয়ভাবে যুদ্ধ করেছে। এদের শৈশব হারিয়ে গেছে প্রতিশোধস্পৃহা আর রক্তের মধ্যে দিয়ে। তাদের এই গল্প সবার জন্য।

যুদ্ধের মধ্যে ভালো লাগার কিছু নেই। যুদ্ধের গল্প আমরা অনেকেই গ্রহণ করতে পারি না। অনেকেই আছেন যারা যুদ্ধের মুভি দেখতে পারেন না, এমনকি টিভিতে যুদ্ধ-বিগ্রহের খবরও দেখতে পারেন না। কিন্তু সত্যি কথাটা কি, পৃথিবীটা কোন কুসুমশয্যা নয়। আমরা যদি এগুলো না জানতে চাই, যদি এগুলো না পড়তে চাই, যদি এগুলো এড়িয়ে যেতে চাই, তাহলে আমরা তাদের কষ্টটা কিভাবে বুঝবো? পৃথিবীতে প্রতিটা মিনিটে মানুষ মারা যাচ্ছে, সিরিয়া, আফ্রিকার মতো কত কত জায়গায় শিশু-কিশোরদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের চারপাশে সুখের পর্দা লাগিয়ে তাদের কষ্টটা না দেখার, না বোঝার, এড়িয়ে যাবার মতো খারাপ আমরা নিশ্চয়ই নই। আসেন আমরা সবাই হাত বাড়িয়ে দেই। একান্তই যদি কিছু না পারি, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই শিশু-কিশোরদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যেমন ইউনিসেফের কিছু গ্লোবাল প্যারেন্ট স্কিম আছে যেখানে আমরা কিছু টাকা দিতে পারি, যা তারা বিভিন্ন সেবামূলক খাতে ব্যয় করতে পারে। এরকম অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে। আসেন আমরা সবাই পৃথিবীটাকে সারিয়ে তুলি।

গল্পটি  শেষ হয়েছে স্থানীয় একটি লোকগল্প/ধাঁধা দিয়ে। এক শিকারী এক জঙ্গলে গেলো বানর শিকারের জন্য। সে একটা বানর দেখতে পেলো আর গুলি করার জন্য বন্দুক উঁচু করলো। সহসা বানরটি মানুষের গলায় বলে উঠলো, "তুমি যদি আমাকে মারো, তাহলে তোমার মা মারা যাবে। আর তুমি যদি আমাকে না মারো, তাহলে তোমার বাবা মারা যাবে।"

এই জটিল ধাঁধার আসলে তেমন কোনো উত্তর নাই। তবে, পরবর্তীতে লেখক এই সিদ্ধান্তে আসলেন যে, যদিও মা মারা যাবে, তবুও বানরটাকে মেরে ফেলাই যুক্তিযুক্ত যেন সে ভবিষ্যতে আর কাউকে এরকম কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি করতে না পারে। আমি মনে করি লেখক এই শেষের এই লোকগল্পটি বলে এটাই বলতে চাচ্ছেন যে, পৃথিবীতে যত যুদ্ধ, অশান্তি চলছে, সেগুলো আর বাড়তে না দিয়ে গোড়ায় শেষ করে দেয়াই ভালো। এরকমটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু তবুও গল্পের শেষে এই লোককথা গল্পটিকে একটা আলাদা সৌন্দর্য্য এনে দিয়েছে।

যেসব জিনিস জানা গেলো:
১৪৬২ খ্রিষ্টাব্দ: পর্তুগীজ পরিব্রাজক পেদ্রো ডি সিনাত্রা এই দেশের নাম দেন সিয়েরা লিওন। কথিত আছে তিনি যখন সমুদ্র থেকে সৈকতের দিকে আসছিলেন, তখন তারা পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অনেক সিংহের গর্জন শুনতে পান। তাই এই স্থানের নাম দিলেন সিয়েরা লিওন, বা সিংহের পাহাড়। নামকরণের আরেকটা কারণ হিসেবে দেখা হয় এইখানে পর্বতশ্রেণীর আকৃতি। সমুদ্রের দূর থেকে দেখলে হঠাৎ মনে হয় একটা সিংহ বুঝি পা মুড়ে বসে আছে। তাই ধারণা করা হয় সেটা দেখেও তারা নাম রাখেন সিয়েরা লিওন, বা সিংহাকৃতি পাহাড়।

১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দ: 'আমিস্টেড' নামে একটি দাস-জাহাজের কালোরা জাহাজে বিদ্রোহ করে এবং জাহাজের দখল নিয়ে নেয়। বিদ্রোহীদের দলনেতা ছিলেন সেংবে পি, যিনি ছিলেন সিয়েরা লিয়নের অধিবাসী। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে 'আমিস্টেড' নাম একটি মুভি বানানো হয়, যাতে অভিনয় করেছেন Anthony Hopkins আর Djimon Hounsou।

ইসমাইল বি এখন ইউনিসেফ-এর হয়ে কাজ করেন যুদ্ধে বিপর্যস্ত শিশু-কিশোরদের জন্য। তার এই বই আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।

https://www.unicef.org/people/people_47890.html

=====================================================================
A young boy is carrying a dead body on a wheelbarrow to bury. The body is covered in white sheet, but patches of blood are soaking through. He doesn't know why he wants to bury this particular body whereas deadbodies are lying around and rotting here and there. He unwrapped the body to see bullet wounds all over. He uncovered the face only to discover that the dead body is his very own...

The boy woke up from this nightmare in New York City. He had just been rescued from the civil war in Sierra Leone where he had been a child soldier. He takes us through a war-trodden country.

Ismaela was a 12-year old boy in a distant village of Sierra Leone. Recently civil war broke out between the govt. and Revolutionary United Front - a rebel organization at Sierra Leone. One day he and his friends set out for another village where suddenly the rebels broke out and everybody ran for their lives. They got scattered and desparately tried to get back to their own village. However they didn't succeed and started to move on. They needed to hide from the rebels and move on, keep searching for food and stay alive. At one point Ismaela got totally secluded from everybody and was lost in a forest alone for over a month. Just imagine a 12-year old boy running through a warzone, lost in the forest and surviving of his own!

If they are caught by the rebels, they would mark 'RUF' on their skin with heated bayonet and engage them as child-soldiers. This is a captivity and the child-soldiers can't escape the gang. Because, if they escape and found by the govt. armed forces, they will be shot straight away without a single question being asked. When the rebels capture young boys, the unfit ones are shot dead immediately in front of the newly captured children so that their mind can be stiffed to make the next killing.

Later again he found a group of boys of his age. Now a new problem arose which is that moving in groups. They are in a difficult situation. In one hand, they are running away from the rebels, and in the other hand villagers don't believe them. Whenever the villagers hear of a group of boys heading forwards, they chase them back, or try to kill them. They were nearly killed in one such occasion; the villagers chased them down the Atlantic beach and they had to walk along the hot sand all along the way. They got painful blisters in their feet.

For months they travelled across jungles, villages, beaches. They searched for their parents, their kins. At one point they were rescued by govt. armed forces and put in a village. After some days rebels surrounded the village and the govt. armed forces lieutenant had to engage the children to war. It is a difficult decision to take because the govt. armed forces are outnumbered by the rebel gang. If all of them don't fight together, the rebels will kill them. So, logically it is better to try surviving rather than die aimlessly.

After this, their life started as child-soldiers. They got used to narcotics and became ruthless killers. They became numb to pain, their eyes glowed with rage and hatred towards the rebels. This is the most crucial phase of war - each party becomes ruthless killers - merciless, pitiless to the opposition and each party thinks it is fighting for a good cause and that cause is the right one.

At one point UNICEF takes the kids to rehabilitation centre. There were kids from both sides - the RUF side as well as the govt. soldier side. They started severe fights in the centre by snatching guns of the sentries; six got killed in the rehabilitation centre. It seemed absolutely impossible to revert the brain-washed children back to normal. But slowly it started happening. They were ferocious at the beginning, beating the staff, burning books, trading books for money illegally. Very slowly they started to turn back normal. During this transitional phase,they started having nightmares and hallucinations. They dreamt like soldiers tying them up and slitting their throarts. Sometimes they woke up from their nightmares and started running across the soccer field, sometimes they tied up the staff thinking of them as the enemy and interrogated them about ammunition supplies.

Very slowly they got out from their nighmares and hallucinations, and started to become normal. At this phase, UNICEF started to rehabilitate them to their kins. Some of them found kins - for some their kins refused to take them back in home as they knew these were killer soldiers recently. Some were accepted with real warmth by their loving family. Ismaela was lucky to have found his uncle who he never saw before and the uncle was really happy and emotional to accept him in their family. He was a simple carpenter, not much wealthy, but he had a big heart.

At one point he was selected by the UN to deliver a lecture in The USA. There were kids from different war-trodden countries. There he met a story-teller who was moved by his speech. This lady, Laura, later adopted him as her child along with her other children. After the conference they had to return to their own places. At this point the civil war reached Freetown (the capital of Sierra Leone) where different groups of soliders ousted the govt. and started fighting with each other. They started killing innocent people. This made everybody's life miserable.

Ismaela contacted Laura and asked her if he can visit her. She agreed, so he travelled to Guinea Conakry to fly back to US. His travel story was touching. As a matter of fact, the whole book is touching. To me it felt as a masterpiece on war where you see a war through the eyes of a kid - a kid who lost everyone, who had to live on his own alone through forests and jungles, who became a merciless soldier, who lost his childhood in war - doesn't know when his childhood passed away while he was busy running away, fighting, killing, who saw people burning, raping, sliting innocent people, who saw rebels walking around holding amputated heads by the hair, who saw the pains and agonies of people. This is the war where people hide in bushes and waits for the buses, where refugees travel across whining buses which is painted black so it can camoflege in the night, people have to buy food from secret black market, they don't know if they will live the next day or not. In the immigration line they have to pay extra to the immigration officers; if they can't pay they are kicked back to the warzone. It is all so touching.

This is a story from Ismael Beah who was engaged as a child soldier. This is a story - taken from life, the holocaust witnessed by small children, who eventually become brain-washed to be merciless killers to the opposition. These are the children who were robbed off and deprived of their childhood for vengeance and bloodshedding. They have so much to ask and tell to everyone.

There is nothing to like in war. We cannot take stories of war. There are people who can't watch war movies, can't even watch news on TVs on war. But the fact is, the world is not a bed of roses. If we don't go through them, if we don't read about them, if we avoid seeing them, then how do we understand? People are dying every minute in the world, kids in Syria, Africa are robbed off their childhood. In fact there is pain and agony everywhere. Trying to ignore them by covering us with the happy world around us is not what we are meant for. We are better than this. Let us extend our hands. If at all you cannot do anything, please assist organizations in reaching them out. E.g.: UNICEF has a global parent scheme where you can donate some amount every month and they use it for different causes. There should be other such organizations as well. Let's "Heal the world, make it a better place." (- Michael Jackson)

The story ended with a local fable/quiz. A hunter went to a jungle to hunt a monkey. He found one and aimed his rifle to shoot. Suddenly the monkey spoke out in human voice - "if you kill me, your mother will die. If you don't kill me, your father will die." Now what will the hunter do?

There is no real answer to this predicament. However, later the author decided that even if the mother would die, it is better to kill the monkey so that it doesn't put anybody in future in the same predicament. I feel like the author puts this as a grave remark on the ongoing predicaments of the world. We have to stop any predicament by demolishing the root. This is actually known to everybody, but the presence of the folklore made an artistic end of the story.

Things to know:

1462 A.D.: Pedro de Sintra - a Portugese explorer - named the country Sierra Leone. It is said that when they were approaching the land, they heard lions' roars from the mountains; so they decided to name the land as 'Sierra Leone' - the lion mountains. The other reason they might have named it as such is, if you look at the mountain range from far, the mountain range resembles that of an elegant lion crouching. That is also pleaded to be a reason of the naming.

1839 A.D.: The people in the slave ship named 'Amistad' revolted and captured the ship. Their commander was Sengbe Pieh who was a Sierra Leonean. A movie was made out of this story in 1997 named 'Amistad', starring Anthony Hopkins and Djimon Hounsou.

Ismael Beah works in UNICEF as a goodwill ambassador and Advocate for Children Affected by War. The book is academically assigned in freshers' classes in several U.S. universities.


https://www.unicef.org/people/people_47890.html

Wednesday, November 6, 2013

Bird Buddies of The Gambia

The Gambia is a very small country in Africa. But rich in bird habitats all around, especially in rural areas where there is an abundance of forests. Just trying to utilize my stay here with my bird photography. I am a novice in the field, but learning. I shall update this post from time to time with bird events that I encounter.

I am uploading the birds in this NGM page: http://yourshot.nationalgeographic.com/profile/425821/

Sunday, February 24, 2013

Favorite Books 16

Book Review Mark Twain Pudd'nhead Wilson Henry Rider Haggard She
Book: The Tragedy of Pudd'nHead Wilson (aka, 'Pudd'nHead Wilson')
Author: Mark Twain (alias, Samuel Langhorne Clemens) (American, 1835-1910)




 











Original Language: English
Year: 1894
Category: Drama


















 
Summary: Dawson's Landing is a town near the Mississippi river (a real town) where David Wilson came to try his luck to make some fortune in the city. Now after landing he makes an apparently clever remark about a yelling dog (that, he would kill half of the dog if he would own the half of the dog). But he made the remark in front of some people who didn't understand him, and he was coined as "Pudd'nHead" and the name spreaded like wind. So he couldn't make fortune, but eventually settled with palmistry and with his hobby of collecting fingerprints and palmprints.

Judge Discroll has a faithful maid slave 'Roxy' who is taking care of Discroll's son Tom Discroll, and also her own son Chambers. Roxy was 1/16th black, and Chambers was 1/32nd black, and also Tom and Chambers looked alike. Now Roxy made a shrewd trick to exchange them for each other. So changing their dresses in one night, now Tom becomes Chambers and Chamber becomes Tom. So Chambers now started growing up in heavenly cares and Tom was growing up as a slave child.

Chambers had totally gone ashtray and becomes a super culprit in every aspects of shrewdness and cunning behaviour. He became frugal, illiterate, addicted to gambling and became a devil in every possible way. He even kills his uncle for money, but could transfer the false charge of killing to Luigi Capello and Angelo Capello who are two Counts from Italy. Now Pudd'nHead Wilson is pleading for the Capello brothers. Let's see how he resolves the case.


Comments: The story is very much interesting and the sense of humour of Mark Twain makes it even a better reading. The portrayal of an ultimate culprit is undoubtedly witty. The plot was arranged nicely and the final stage is predictable anyway. But Mark Twain actually wanted to write a story on seeing two conjoined twins. Interestingly the Capello brothers are twins, but Chambers and Tom are not twins - though they look similar. I don't know if the author wanted to mean something profound through this (the story doesn't make you think that there might be any profound meaning to this). But the story is much too attractive and will stick you to the pages until you finish. Though Mr. Wilson plays a vital role in solving a murder case, but the main character of the story is the ultimate culprit Mr. Chambers. So I am a little confused if the name of the story is perfect. Even it doesn't show very much of his tragedy in that sense. But anyway, overall it is a very enjoyable novel.


Links:
English ebook is avaialble from Project Gutenberg: Mark Twain - The Tragedy of Pudd'nHead Wilson (epub and other formats)

English PDF available from Pennsylvania State University. Available at (667 KB): Mark Twain - The Tragedy of Pudd'nHead Wilson

=====================================================================


Book: She - A History of Adventure

Author: Henry Rider Haggard (British, 1856-1925)












 


Original Language: English
Year: 1887
Category: Adventure, Fantasy















Summary: Horace Holly is a polymath who has been given the responsibility to bear up Leo Vincey by one of his dying friend Vincey. Before dying the friend gave him some specific instructions about a box which is to be opened on the 25th birthday of Leo. So he did - opened it on his 25th birthday and found some amazing and interesting history in some papers and artifacts in the box.


The short history was like this - long time ago there was a priest Kallikrates who married Amenartas of the tribe. But since Amenartas was the princess of the tribe and they married in secret so they had to flee and eventually reached the land of Amahagger tribe. This tribe had an amazingly beautiful and immortal queen Ayesha who fell in love with Kallikrates but on refusal killed him on the heat of the rage. But then she became so repentant that she started waiting for decades and centuries for Kallikrates to be reborn and come back to her forgiving her sin. However the artifact in the box was written by Amenartas who cursed Ayesha and instructed her ancestors to take revenge of her. Now the ancestor is supposed to be Leo.

On this, the two decided to set on a journey to this mysterious place and see what's really out there. They reached there and Ayesha found that Leo is actually
reborn as Kallikrates for whom she is awaiting for milleniums. But Leo is already married to Ustane on reaching the land, so Ayesha needs to kill Ustane. Leo cannot get rid of Ayesha's beauty and forgives her sin of killing himself a long time ago, and also killing of Ustane. But before they can copulate, Leo needs to go through the flame of immortality to attain to the same power of Ayesha. Let's see what happens.

Comment: The book was suggested by Kafi Mahfuz. This is one other classic adventure and fantasy from Mr. Haggard. The amazing description of Ayesha's beauty is once again very much sensational. The adventure was doubtlessly powerful enough to stick the reader to the pages until s/he finishes.

One glitch was observed - if Ayesha could see them coming through her magic water, she must have seen Leo through it, rather than discovering him later. But again, there might be several explanations, but the thing is none was provided. It would not cost much but would make the glitch removed. Anyway, the glitch can be overseen.

It is interesting to note that in most of the books there appears an apparently ugly, but at the same time a witty and honest man. For example, in this book Horace Holly is like that, and in the Alan Quatermain series he himself (Alan) is such a man. It is often said that writers tend to inhibit themselves in some of the leading characters. I don't know if Sir Haggard tried to reflect himself through the characters or not. Or may be he tried to reflect the fact that appearance is not all - judge people by their inner looks.

There is a 1965 movie titled SHE where Bond Girl Ursula Andress played the role of Ayesha. But like most movie adoptions from books, the movie is also completely different from the story, anyway.

Links:

English ebook is available at Project Gutenberg. Available at: Henry Rider Haggard - She (epub and other formats)

English PDF available at PinkMonkey. Available at (519 KB): Henry Rider Haggard - She (English PDF)
 
Bangla translation is available by Seba Prokashoni. Translated by Niaz Morshed.

Let us buy paper books. Let's enrich our mind and home library.

Tuesday, January 22, 2013

Parapsychology 1 - The Mad Man at the Bridge!

parapsychology clairvoyance
Image courtesy: EgoDevelopment.com
This is a narrative from one of my junior friends. His name is Syed Imran Jewel, now resides in Australia. The narrative could have been better told by him in his native language. But since he doesn't blog so I thought I could share the interesting the story. The story is very short and the conclusions are predictable anyway.

It was a bright sunny day, with soothing breeze and tender morning dews on the grasses. Two friends from Bangladesh set on a travel to their relatives in a city in India. They had been invited by those relatives to reach there on that very special day, and they did not know the exact purpose or occasion. On their way they stopped at a bridge near a river. Suddenly their eyes stuck upon a man whose apparent looks told them that he had been out of his mind and probably going through psychological disorder. He was sitting on the bank of the river and was eagerly searching something in the water with a stick.

The two became a little curious, went to him and asked him what he was doing. The man didn't pay heed and kept on searching more inquisitively. They kept on trying to talk to the man. Suddenly out of nothing the man turned to one of them and shouted loudly, "এই তুই এখানে কি করতেছিস? তোর না আজকে বিয়ে?" (translate as "Hey what are you doing here? Isn't that your marriage ceremony is going to be held today? You should be there.").

The two started laughing at this, taking it as a funny remark from a psychologically disordered person. Now suddenly the mad man turned to the other man and said, "এই তুই এতো হাসতেছিস কেন রে? তুই তো বিএ ফেল!" (may be translated as "Why are you laughing so much, dude? You have already failed BA.").

The two laughed at this again, but anyway started their journey again. On reaching the destination, they found that some kind of festival was going on. They entered the house and suddenly all the people cheered them as, "the bridegroom has arrived". The two were amazed and one of them was adorned as the bridegroom and the marriage was completed. This was the one to whom the mad man indicated as the would-be-bridegroom.

I need to shed some light about this old oriental cultural practice. Sometimes such kind of surprise-marriage used to take place in those regions (Bangladesh and India). This was occasional and not any ritual practice in any way. However there is no instance of such surprise-marriages at present.

Now the other one's face became dark like nimbus clouds as he realized what the mad man said had come to reality; there was every possibility that his other remark would be true, too. They went back to home, BA results were published two months later and interestingly this other friend really failed in the BA exam.

As said, this was a narrative from some close contacts. There are reasons to believe in the story as clairvoyance is an established para-psychology. This is a psychological incidence, but has no explanations. Stubborns might still argue that science has an explanation to this. But remember, this is a "para-psychological" phenomenon which, by definition means it doesn't abide by physical scientific laws (or scientific laws don't have a clear explanation to this). Actually it doesn't need to be explained really as it is a magnificient power in itself and doesn't really care for any explanations. Paranormal incidents do occur in the world. Let some of the mysteries of nature remain in itself and amaze us with their magnificence.